রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন।
কিছুক্ষণ আগে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পুতিনের এ ঘোষণা দেওয়ার ভাষণটি যখন টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছিল একই সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছিল; যেখানে তাকে থামানোর আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া ভাষণে পুতিন ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র ফেলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। কোনো রক্তপাত হলে তার জন্য ইউক্রেন দায়ী থাকবে বলেও হুঁশিয়ার করেন পুতিন।
এদিকে পুতিন যখন এ ঘোষণা দিলেন একই সময়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দোনেৎস্কে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বিবিসির পূর্ব ইউরোপ করেসপন্ডেন্ট।
পুতিন আরও বলেন, ন্যায় ও সত্যের দিকে আছে রাশিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ালে মস্কো সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তার দেশ যে অবস্থান নিয়েছে তা আত্মরক্ষার্থে নিয়েছে। ইউক্রেনের সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের পূর্বপুরুষরা লড়াই করেনি যাতে তারা নব্যনাৎসিদের পাশে থাকতে পারে।
ইউক্রেন ও রুশ বাহিনীর মধ্যে লড়াই অনিবার্য উল্লেখ করে পুতিন বলেন, এটা এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
এর মাত্র কয়েক মিনিট আগে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সামরিক কোনো পদক্ষেপের জন্য অনেক চড়া মূল্য দিতে হবে।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি শান্তির আহ্বান জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন- ‘গিভ পিস অ্যা চান্স।’
তিনি আরও লেখেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন, আপনার সেনাদের ইউক্রেনে হামলা থেকে থামান। এরইমধ্যে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে দোনেৎস্কের পাশাপাশি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সিএনএনের একটি লাইভ বডকাস্ট চলাকালে করেসপন্ডেন্ট ম্যাথিউ চান্স চার থেকে পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানান।
রাশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দরের কাছে গোলাগুলির কথা জানিয়েছে।
এছাড়া আরও অনেক অঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন অনেকে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ