পেরুতে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ বছর আগে বলিদান করা ৮টি শিশুর ও ১২টি প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দেহাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকরা। দেশটির লিমার পূর্বে প্রাক-ইনকান কাজামারকুইলা কমপ্লেক্সে একটি বড় খনন কাজ পরিচালনার পর গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানান তারা। খবর এনডিটিভি।
দেহাবশেষগুলো একটি ভূগর্ভস্থ সমাধির বাইরে ছিল। যেখানে গত নভেম্বরে একটি প্রাচীন মমি খুঁজে পেয়েছিল পেরুর সান মার্কোস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল। যা ভ্রূণের মতো করে ভিআইপি দড়ি দিয়ে আবদ্ধ করা হয় বলে মনে করা হয়েছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিক পিটার ভ্যান ডালেন বলেন, মৃতদেহগুলোর কিছু মমি করা এবং অন্যদের কঙ্কালগুলো প্রাচীন প্রাক-হিস্পানিক রীতি অনুযায়ী কাপড়ের বিভিন্ন স্তরে মোড়ানো ছিল। সম্ভবত এসব দেহগুলো মূল মমির সঙ্গে উত্সর্গ করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুর পরও জীবনের বিশ্বাসী ছিল ওই জনগোষ্ঠীর মানুষরা। পৃথিবীর ন্যায় একটি বিশ্বে মৃতরা বাস করে বলে ধারণা করতেন তারা। মৃত ব্যক্তিদের আত্মা জীবিতদের রক্ষাকারী বলে বিশ্বাস ছিল তাদের।’
ভ্যান ডালেন আরও বলেন, ‘এই কবরের সঙ্গে ১৭০০ সালের শাসক সিপানের সমাধির মিল পাওয়া যায়। তার সমাধি থেকে শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। শাসককে উৎসর্গ করে তাদের কবর দেওয়া হয়েছিল।’
পেরু হলো শত শত প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন ও সংস্কৃতির আবাসস্থল। যা ইনকা সাম্রাজ্যের আগে এবং পরে গড়ে ওঠে। এটি ৫০০ বছর আগে দক্ষিণ ইকুয়েডর এবং কলম্বিয়া থেকে মধ্য চিলি পর্যন্ত মহাদেশের দক্ষিণ অংশে তাদের আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ