ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এবার রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশনার সময়: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৪৮

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লোহানস্ক ও দোনেস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরে ইউক্রেন সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে। বড় ধরনের যুদ্ধর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে (২২ ফেব্রুয়ারি) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরআগে ইউক্রেন ইস্যুতে মঙ্গলবার রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আর্থিক সাহায্য কিংবা অনুদানের পথ সংকীর্ণ হয়ে গেলো রাশিয়ার সামনে।

মঙ্গলবার ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আমরা দুটি রাশিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। রাশিয়া এরপর থেকে পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে কোনও টাকা তুলতে পারবে না। পাশ্চাত্যের বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না। এমনকী বুধবার থেকে রাশিয়ার উচ্চবিত্ত সমাজের মানুষের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তারা রাশিয়ার অন্যায় কাজে সহযোগিতা করছে। সেটার ফল তাদের ভোগ করতে হবে।’

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের চারদিকে রাশিয়ার ১ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য রয়েছে। যুদ্ধ বিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ে বেলারুশেও তাদের সৈন্যরা অবস্থান করছে আক্রমণ করার জন্য। ইউক্রেন সংলগ্ন সীমান্তে সৈন্য পাঠাচ্ছে তারা। কৃষ্ণ সাগরে তাদের যুদ্ধ জাহাজ টহল দিচ্ছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের আর বোকা বানানো যাবে না। কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে না। রাশিয়া যদি যুদ্ধের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে রাশিয়াকেই সেটার দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চল দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করে পশ্চিমের বেশ কয়েকটি দেশ। কিন্তু পারেনি। এরপর থেকেই ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো রাশিয়ায় বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে।

মঙ্গলবার জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলৎজ গ্যাস কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আর যুক্তরাজ্য রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক ও তিনজন ব্যবসায়ীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার কূটনীতিক, ব্যাংক মালিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ