ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ রুশ সেনা, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশনার সময়: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৫৩ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৫৬

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের যে তথ্য রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দিয়েছে, তা নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সীমান্তে এখনও আছে ১ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি সৈন্য।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইউরোপের দেশসমূহের সামরিক জোট অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশনের (ওসসিই) বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই জোটে নিযুক্ত মার্কিন দূত মাইকেল কার্পেন্টার। তিনিই এ তথ্য দিয়েছেন।

বৈঠকে কার্পেন্টার বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী ইউক্রেন সীমান্তে এখনও অবস্থান করছে ১ লাখ ৯০ হাজার বা তার চেয়ে কিছু বেশিসংখ্যক সেনা। গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ।’

‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপের কোনো অঞ্চলে এত বেশিসংখ্যক সেনা উপস্থিতি ঘটেছে।’

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।

গত দুই মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি অবশ্য কিছু সৈন্যদল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; তবে এই বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে ইতোমধ্যে সংশয় প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রসমূহ।

ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়, মূলত সেজন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির করতেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল রাশিয়া। কারণ, ১৯৪৯ সালে গঠিত ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে; এবং ঐতিহাসিকভাবেই রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী।

মস্কো অবশ্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বলেছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই; নিজের কেবল ন্যাটোর তৎপরতা থেকে নিজের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে চায়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, সীমান্ত থেকে কিছু সৈন্যদল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পরের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ক্রিমিয়া থেকেও সেনাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরা মস্কোর রাশিয়ার ওপর একেবারেই আস্থা রাখতে পারছে না। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ইউক্রেনে হামলার অজুহাতের অংশ হিসেবে তারা ভুয়া হামলার ঘটনা ঘটোতে পারে, এটি বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণ আমাদের কাছে আছে। প্রতিটি ইঙ্গিতই বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনে ঢুকবে এবং হামলা চালাবে।’ সূত্র: রয়টার্স

নয়া শতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ