ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা যে কোনো সময় : যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৯
ছবি : এএফপি

ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মিত্র দেশ বেলারুশের সঙ্গে চালাচ্ছে সামরিক মহড়া। ব্ল্যাক সিতে দেখা গেছে দেশটির নৌবাহিনীর শক্ত অবস্থান। ইউক্রেনকে কার্যত ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া।

এমন পরিস্থিতিতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ইউক্রেনে হামলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। হামলা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ সীমান্তে জড়ো করেছে দেশটি। আকাশ পথে কিয়েভ শহরে দ্রুত হামলা চালানোর সম্ভাবনা আছে এবং আগামী সপ্তাহে শীতকালীন বেইজিং অলিম্পিক গেম শেষ হওয়ার আগেই তা শুরু হতে পারে।

হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ইউক্রেনে ‘যে কোনো সময়ে’ হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ত্যাগের অনুরোধ করেছেন। যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলেছেন কিয়েভের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে।

সুলিভান বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ভবিষ্যৎ বলতে পারি না, আমরা জানি না কি ঘটতে পারে, কিন্তু বাস্তব ঝুঁকি এবং হুমকি থাকায় এটিই (ইউক্রেন ত্যাগ) সমীচীন।’

তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু বিকল্প বাণিজ্যিক পথ খোলা আছে। তাই প্রেসিডেন্ট চাচ্ছেন না যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক, যাতে নাগরিকদের সরাতে ইউনিফর্মধারী পুরুষ ও নারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে হয়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির নাগরিকদের। তিনি জানিয়েছিলেন, হামলা শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।

বাইডেন বলেন, ‘এটি এমন নয় যে আমরা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে মোকাবিলা করছি। বরঞ্চ আমরা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেনাবাহিনীর বিষয়টি সামলাচ্ছি। এখানকার পরিস্থিতি খুবই ভিন্ন এবং বিষয়গুলো দ্রুতই উন্মত্ত রূপ নিতে পারে।’

এবার যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলেছে।

যদিও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে দায়ী করেছে।

সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও মহড়া চালানোর পরও ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনার বিষয়টি অস্বীকার করেছে মস্কো। তবে রাশিয়া তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইছে। তাদের দাবি, পূর্ব ইউরোপ হতে ন্যাটো সেনা সরাতে হবে এবং ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোভুক্ত করা যাবে না।

রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। ফলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও উত্তেজনা নিরসনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁও রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তবে অবস্থার উন্নতি হয়নি।

এদিকে রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলাকে বিবেচনায় রেখে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে বেশি কিছু প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পেয়েছে দেশটি। এ ছাড়া ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে রক্ষায় ইউরোপে বাড়তি সেনা ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ