স্বামী-স্ত্রী দুই জনই চাকুরিজীবি। শিশু সন্তানকে রেখে যেতেন আয়ার কাছে। কিন্তু সেই আয়ার নির্যাতনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ৮ মাসের শিশুকে নেওয়া হয়েছে আইসিইউতে।
ভারতের গুজরাটের সুরত জেলার রান্দার পালানপুর পাটিয়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই শিশুর বাবা ও মা দুজনেই চাকরি করেন। তাই সন্তানের দেখভালের জন্য মাস তিনেক আগে কোমল চন্দলেকর নামে এক আয়াকে কাজে রেখেছিলেন দম্পতি। ওই আয়া বিবাহিত। তবে বিয়ের ৫ বছর পরও তারা নিঃসন্তান ছিল।
ওই দম্পতিরা জানান, প্রথম দিকে সবই ঠিক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিবেশীরা ওই দম্পতিকে জানান, তারা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাড়ি থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শোনা যায়।
প্রতিবেশীদের এমন অভিযোগ পেয়ে বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান ওই দম্পতি। পরে ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ওই দম্পতি দেখেন, তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের সন্তানের কান্না থামাতে বাচ্চার মাথা বিছানায় অনেকক্ষণ ধরে ঠেসে ধরা হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুকে ক্রমাগত চড়-থাপ্পড়, মাথার চুল ধরে টানতেও দেখা গেছে বলে অভিযোগ দম্পতির।
প্রায়ই এমন অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। পরে হাসপাতালে নিলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যা ধরা পড়ে। বর্তমানে শিশুটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে ওই আয়ার বিরুদ্ধে রান্দার থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন ওই শিশুর বাবা মিতেশ পাটেল। ওই অভিযোগের ভিত্তিকে কোমলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ