ভারতের কলকাতার বেহালায় লোভে পড়ে লাখ টাকা ঋণ নিয়ে লটারি কিনছিলেন এক ব্যবসায়ী। পরে টাকা শোধ করতে না পেরে পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্য করেন তিনি।
এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সংবাদ প্রতিদিনি জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ। বেহালার সত্যেন রায় রোডের বাসিন্দা তিনি। গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বাড়ি থেকে বের হন বিশ্বজিৎ। মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখেই বের হন তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। ফোন না থাকায় পরিবারের লোকেরা যোগাযোগও করতে পারেননি তার সঙ্গে। বাধ্য হয়ে রাতে বেহালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপর গভীর রাতে নিউ আলিপুর স্টেশন থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির মরদেহ।
পরদিন মঙ্গলবার তার মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার। এরপরই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন বিশ্বজিৎ। লটারির টিকিট কেনা নেশায় পরিণত হয়েছিল তার। অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার করে লটারি কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু শোধ দিতে পারেননি সেই টাকা। ফলে পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বজিৎ। তবে এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ