এক বিধ্বংসী সামরিক অভিযানে ২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দীর্ঘ ২০ বছর আফগানিস্তানের সামরিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা। কিন্তু গত বছরের ১৫ আগস্টে মার্কিন বাহিনীর বিদায়ের মধ্যে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালেবান গোষ্ঠী। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশ তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
যার ফলে দেশটির অর্থনীতি দিনকে দিন নাজুক হচ্ছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট, বেড়েছে পণ্যের দাম, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা পাচ্ছেন না বেতন।
এদিকে, অর্থের অভাব মেটাতে শরীরের কিডনি বিক্রি করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। কাজ হারিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ায় দু’বেলা দু’মুঠো খাবার যোগাতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কিডনি। ৪ থেকে ৮ হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে একেকটি কিডনি।
ইউরোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হেরাতের গোলাম হযরত নামের এক বাসিন্দা দারিদ্রের কারণে ৪ সন্তানের এই জনক বাধ্য হয়েছেন নিজের কিডনি বিক্রি করতে। তিনি বলেন, আমার পক্ষে রাস্তায় বের হয়ে ভিক্ষা করা সম্ভব না। কিন্তু আবার এদিকে ঘরে খাবারও নেই। তাই কি করবো। বাধ্য হয়েই নিজের কিডনি বিক্রি করেছি যাতে সন্তানদের মুখে অন্তত দু’বেলা খাবার তুলে দিতে পারি।
আফগানরা পাগলের মতো হন্য হয়ে চাকরি খুঁজছে। কিন্তু তারা কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ঘরের আসবাব বিক্রি করছে, শরীরের অঙ্গ বিক্রি করছে। কেউতো আবার বাধ্য হয়ে বিক্রি করছে নিজের সন্তানকেই।
একদিকে পশ্চিমা সহায়তা আসা বন্ধ, অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যাংকে আটকে দেয়া হয়েছে আফগানিস্তানের রিজার্ভের অর্থ। ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটে দেশটির বাসিন্দারা। ফলে বাধ্য হয়েই তারা বিক্রি করছেন নিজেদের কিডনি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ