করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পুরো বিশ্ব। প্রকৃতির সৃষ্ট খালি চোখে দেখা যায় না এমন ক্ষুদ্রাকৃতির এই ভাইরাসের সামনে যেনো বিশ্ব অসহায়। তবে শুরু থেকেই বেশ কঠোর ছিলো হংকং। তাই হংকংয়ের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। কোনোভাবেই যেন প্রাণঘাতি করোনা তাদের দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকটিতে শুরু থেকেই সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন তারা।
যেকারণে করোনা হংকংয়ে তেমন তাণ্ডব চালাতে পারেনি। তবে বরোটা বাজিয়ে দিয়েছে সেদেশের জনগনের জীবনে। হংকংয়ের এমন কঠোরতার কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে দেশটির পতাকাবাহী বিমান সংস্থা ক্যাথে প্যাসিফিকের কর্মীদের। বিমান নিয়ে হংকংয়ে ঢোকার পরই সাত দিন বা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে তাদের কর্মীদের।
ক্যাথে প্যাসিফিকের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়, সব মিলিয়ে ২০২১ সালে তাদের কর্মীরা ৭৩ হাজার রাত কোয়ারেন্টিনে কাটিয়েছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্যাটরিক হিলে মঙ্গলবার কর্মীদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে আপনারা যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তা বেশ কঠিন। আমাদের কর্মীরা ২০২১ সালে হোটেল কোয়ারেন্টিনে ছিল ৬৩ হাজার রাত। সঙ্গে তারা সরকারি কোয়ারেন্টিন হাউজে থেকেছেন ১১ হাজার রাত।’
ক্যাথে প্যাসিফিকের প্রায় এক হাজার কর্মী আছে। তবে দীর্ঘদিন এমন কোয়ারেন্টিনে থেকে অনেকে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছেন। অনেকে চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন। সঙ্গে অনেকে চাকরি ছাড়ার চিন্তা করছেন।
তবে এতকিছুর পরও ক্যাথে প্যাসিফিক বাহবা পায়নি। উল্টো হংকংয়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে দেয়ার কারণে ক্যাথে প্যাসিফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ