ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

৬৭ বছর স্নান করেন না যে ব্যক্তি 

প্রকাশনার সময়: ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৩৫ | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৪৩
ছবি: সংগৃহীত

টানা ৬৭ বছর ধরে স্মান করেন না এমন এক ব্যক্তির সন্ধান পাওেয়া গেছে ইরানে । তেহরান টাইমস’ নামে ইরানের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের জানিয়েছে, কেরমানশাহ প্রদেশের দেজগাহ গ্রামের বাসিন্দা আমো হাজি স্নানঘরে ঢোকেননি প্রায় সাত দশক ধরে। এ হেন ‘কীর্তি’ জেনে অনেকেরই চোখ কপালে। তাঁদের প্রশ্ন, তবে কি এই বৃদ্ধই দুনিয়ার সবচেয়ে ‘নোংরা, অপরিষ্কার’ ব্যক্তি?

কেন স্নানের ঘরে ঢুকে আর পাঁচটা মানুষের মতো স্নান করেন না? গায়ে ধুলোবালি, কাদামাথা ৮৭ বছরের বয়সী ওই ব্যক্তির স্বীকারোক্তি, ‘জল দেখলে ভয় হয়। মনে হয় স্নান করলেই অসুস্থ হয়ে পড়ব!’

বছরের পর বছর ধরে স্নান বাদ রাখার নিট ফল? সুস্থ রয়েছেন ওই বৃদ্ধ? কাহিনি শুনে অনেকেই সে প্রশ্ন তুলেছেন। ইরানের সংবাদমাধ্যমের দাবি, দিব্যি রয়েছেন বৃদ্ধ! তবে গায়েমাথায় নিয়মিত সাবান-শ্যাম্পুর ঘষামাজা না হওয়ায় একটু অন্য রকমের ‘রূপ’ হয়েছে তার।

এত বছর ধরে সাবান-শ্যাম্পুর ছোঁয়া না পেয়ে ওই ব্যক্তির চেহারা বেশ ‘খোলতাই’ হয়েছে। তার ‘রূপ’ দেখে অনেকেই বলছেন, বৃদ্ধ যেন বাইবেলের পাতা থেকে উঠে আসা চরিত্রের মতো দেখতে হয়ে গিয়েছেন। ঠিক যেন রান্নাঘরের চিমনি বেয়ে নেমে আসা মোজেস। তেমনই গোঁফদাড়িতে ঢাকা গোটা মুখ। অর্ধেক টাকমাথায় উস্কোখুস্কো চুল। গায়েমাথায় ছাইমাখা, নোংরা!

গোঁফদাড়ি বড় হলে নাপিতের কাছে দৌড়ন না বৃদ্ধ। বরং আগুন জ্বালিয়ে তাতে মুখটা এগিয়ে দেন। গোঁফদাড়ি আপনা থেকেই ‘ট্রিম’ হয়ে যায়।

জীবনযাত্রা নিয়ে এখনই আবার বাঁকা মন্তব্য করতে শুরু করে দেবেন না যেন! স্নান না করা বা অপরিচ্ছন্ন থাকা ছাড়াও তাঁর খাদ্যাভ্যাসও বেশ ‘উদ্ভট’ মনে হতে পারে।

খাবারদাবারে হামেশাই মৃত পশুপ্রাণীর পচা মাংস থাকে। বিশেষ করে সজারুর মাংস বেশ জমিয়ে খান তিনি। আর নেশা বলতে ধূমপান। তবে তামাক খেতে একেবারেই পচ্ছন্দ করেন না। বরং পশুর মল শুকিয়ে ফুটিফাটা পাইপে ঢুকিয়ে তাতে সুখটান দিয়ে মৌতাত জমান হাজি।

স্নানের জলে ভয় থাকতে পারে। তবে ভাববেন না, জলপান করেন না হাজি! টিনের ক্যান থেকে প্রতি দিন পাঁচ লিটার জল ঢক ঢক করে গিলে ফেলেন তিনি।

পোশাকেও স্বতন্ত্র হাজি। যেন যুদ্ধে যাচ্ছেন, এমন হেলমেট মাথায়। তবে যুদ্ধে নয়, ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতেই এমন সাজ।

পোশাক বা খাবারদাবারের মতোই থাকার জায়গাও কম অভিনব নয়। যেন কবরখানায় ঢুকছেন, এমন গর্তে থাকেন তিনি। বসবাসের আরও একটা জায়গা রয়েছে তার। বৃদ্ধের থাকার জন্য ইটের সারি দিয়ে খোলা ছাউনি গড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

জীবনযাপন একটু ‘আলাদা’ মনে হচ্ছে? ইরানের সংবাদমাধ্যমের দাবি, যৌবনে মনে ব্যথা পাওয়ার পর থেকেই জনশূন্য জায়গায় বসবাস শুরু করেন তিনি। নিজের যাপনও বদলে ফেলেন বৃদ্ধ! সূত্র : আনন্দ বাজার

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ