সহিংস বিদ্রোহী বিক্ষোভ দমনে কাজাখস্তানে পা রেখেছেন রাশিয়ার ছত্রীসেনারা। কঠোর নিয়ন্ত্রিত সাবেক সোভিয়েত দেশটিতে প্রাণঘাতী সহিংসতার পর শান্তিমিশনের ভূমিকা রাখতে তাদের পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কত সেনা পাঠানো হয়েছে তা এখনই জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) পৌঁছার পরপরই রাজধানী আলমাতিসহ প্রধান প্রধান শহরে অবস্থান নেয়। অভিযানও শুরু করে। প্রায় ২ হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
কাজাখ প্রেসিডেন্টকে দেশের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সহায়তা করতে সেনা পাঠিয়েছে মস্কো নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। আগের দিন বুধবার যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি ‘কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন’র (সিএসটিও) সহযোগিতা চেয়েছিলেন কাজাখস্তানের রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ।
রাশিয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান নিয়ে গঠিত সামরিক জোট তৎক্ষণাৎ সেনা পাঠানোর বিষয়টি অনুমোদন করে।
বৃহস্পতিবারই রাজধানী আলমাতি এসে পৌঁছায় সেনারা। তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের বাধায় দ্রুতই সহিংস হয়ে ওঠে।
কাজাখস্তানের পুলিশ, সামরিক বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু দেশটির সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির পুলিশের মুখপাত্রের বরাতে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা দাবি করছে, সরকারি ভবনগুলোতে হামলার সময় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আলমাতি শহরের কর্তৃপক্ষ বলছে, সহিংসতায় ৩৫৩ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ১২, তাদের মধ্যে দুজনকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ