ভারতে রমরমিয়ে চলছে স্পা সেন্টার। সারাদিন ধরে চলছে কাস্টমারদের আনাগনা। বাইরে থেকে দেখে কিচ্ছুটি বোঝার উপায় নেই। অথচ দিনের পর দিন স্পা সেন্টারের আড়ালে চলছে দেহ ব্যবসা।
এসব ম্যাসাজ পার্লার এবং স্পা সেন্টারের আড়ালে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। তবে এগুলো বন্ধে নানা পদক্ষেপও নিচ্ছে প্রশাসন।
কয়েক মাস আগেই ভারতের আসামের গুয়াহাটি পৌরসভা স্পা-পার্লার-স্যাঁলোর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পার্লারে আর নারীদের দিয়ে ‘ম্যাসাজ’ করাতে পারবেন না পুরুষরা। নারীরাও পারবেন না পুরুষদের দিয়ে ‘ম্যাসাজ’ করাতে। শুধু তাই নয়, ওই সব স্পা-পার্লার-স্যালোঁর দরজাও স্বচ্ছ হতে হবে। অর্থাৎ, ভেতরে কী চলছে, তা যেন বাইরে থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্যও বলা হয়।
তবে এসব স্পা সেন্টার ও ম্যাসাজ পার্লারগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা অবৈধ বলে জানিয়েছেন ভারতের মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ব্যক্তি অধিকার ক্ষুণ্ন এবং শারীরিকভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘনের আশঙ্কায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট এ কথা জানিয়েছে।
বিচারপতি জি আর স্বামীনাথন জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ভারতীয় সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।এ সময় তিনি বলেন, স্পার মতো প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি সরঞ্জাম সন্দেহাতীতভাবে ব্যক্তি স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ