মধ্য-এশিয়ার তেল সমৃদ্ধ দেশ কাজাখস্তানে নতুন বছরে শুরুতে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতার মুখে সরকারের পতনের পরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিক্ষোভ থেকে ক্ষুব্দ জনতা দেশটির বৃহত্তম শহর আলমাতির মেয়রের কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির একজন প্রতিনিধি বলেছেন, আলমাতিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে স্টান গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলেও তাদের মেয়রের কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিতে পারেনি। এমনকি সশস্ত্র কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের লাঠি এবং ঢাল ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা মেয়রের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
নতুন বছরের শুরুতে কাজাখস্তানে গাড়িতে ব্যাপক ব্যবহৃত জ্বালানি এলপিজির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই বিক্ষোভ ক্রমান্বয়ে সহিংস হয়ে ওঠায় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দেশটির সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
কাজাখস্তানের বৃহত্তম শহর আলমাতি এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ মানজিসতাউয়ের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। তারা বলেছেন, তেল ও গ্যাস রফতানিকারক কাজাখস্তানের জ্বালানির বিশাল মজুত থাকার পরও এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধি একেবারে অন্যায্য।
বুধবার বিকেলের দিতে আলমাতিতে এএফপির সংবাদদাতারা পুলিশের ইউনিফর্ম পরা অনেক পুরুষকে তাদের ঢাল এবং হেলমেট একটি স্তূপে ফেলে দিতে এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখেন। পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এই ব্যক্তিরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এ সময় পাশের এক বিক্ষোভকারীকে জড়িয়ে ধরে অপর একজন নারী বলেন, ‘তারা আমাদের পাশে আছেন।’
দেশটিতে চলমান এই বিক্ষোভকে কাজাখস্তানের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নজরবায়েভের প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থার জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান ২০১৯ সালে পদত্যাগ করেন এবং অনুগত কাসেম জোমার্ট তোকায়েভকে প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করে যান। সূত্র: রয়টার্স।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ