ভারতের রাজধানী দিল্লিতে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষত সারিয়ে উঠতে শুরুর মধ্যেই ফের উর্ধ্বমুখী হয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। এমন পরিস্থিতি সামলাতে প্রায়ই রাত্রীকালীন কারফিউ জারির পাশাপাশি এবার দিল্লিতে সপ্তাহিক ছুটির দিন শনি-বোববার কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দেশটির রাজ্য সরকার এই আদেশ জারি করেছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহের শনি ও রোববার কারফিউ চলবে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায়।
কারফিউ ঘোষণার দিনেই দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭৯ জন, যা গতবছর সেপ্টেম্বরের পর ভারতে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শনি এবং রোববার কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেইসঙ্গে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি সব দফতরের কর্মীদেরকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তবে, বেসরকারি সংস্থাগুলো ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারবে।
মণীশ আরো জানান, বাস স্টপেজ ও মেট্রো স্টেশনে ভিড় এড়াতে বাস এবং মেট্রোয় আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রকাশ্যে কেউ মাস্ক ছাড়া বের হতে পারবেন না।
ওমিক্রনের কারণে বর্ষবরণে দিল্লিতে বন্ধ ছিলো জমায়েত; কিন্তু তারপরও গত এক সপ্তাহে দিল্লিতে সংক্রমণের হার বাড়ছেই। প্রতিদিনই সেখানে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। সোমবার রাজধানীতে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৯ জন।
কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছি। শরীরে মৃদু উপসর্গ রয়েছে। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বাড়িতেই আইসোলেশনে আছি। গত কয়েকদিনে যারা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তারা দয়া কয়ে আইসোলেশনে থাকুন এবং করোনার পরীক্ষা করান।’
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ