ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি, নিহত ২

প্রকাশনার সময়: ০২ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:৩৫ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:৩৪
নিহত

সামরিক শাসনের বিরোধিতায় আয়োজিত বিক্ষোভ-প্রতিবাদে গুলি চালিয়ে অন্তত দু’জনকে হত্যা করেছে সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী।

রোববার (২ জানুয়ারি) রাজধানী খার্তুম এবং ওমদুরমান শহরে ওই দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে দেশটির চিকিৎসকদের সংগঠন সেন্ট্রাল কমিটি ফর সুদানিজ জানিয়েছে।

সেন্ট্রাল কমিটি ফর সুদানিজ বলছে, রোববার রাজধানী খার্তুমে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২০ বছরের এক তরুণ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে মারা যান তিনি। এছাড়া ওমদুরমান শহরে দ্বিতীয় আরেকজনের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২৫ অক্টোবরের অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত সুদানের নিরাপত্তা বাহিনী এ নিয়ে মোট ৫৬ জনকে হত্যা করেছে। তবে রোববার গুলিতে নিহত দু’জনের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

অক্টোবরের অভ্যুত্থানের পর রোববার দেশটিতে ১২তম বারের মতো বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, রাজধানী খার্তুমে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিক্ষোভের আগে রাজধানীতে ইন্টারনেট এবং মোবাইল সেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তবে আদ-দামাজিন, পোর্ট সুদান এবং সেন্নার-সহ অন্যান্য কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে পেরেছেন বিক্ষোভকারীরা।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন, খার্তুমের সাথে অন্যান্য শহরের মধ্যে সরাসরি সংযোগকারী সব সেতুও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার ব্যাপারে টেলিকম কোম্পানিগুলোর সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, কর্তৃপক্ষ টেলিকম সেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে রোববার তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বেসামরিক রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির অবসান ঘটিয়ে গত ২৫ অক্টোবর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেয় সুদানের সামরিক বাহিনী। ২০১৯ সালে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি হওয়ার পর দেশটিতে গণতান্ত্রিক সরকার ফেরার পথ তৈরি হয়েছিল।

দুই বছর আগে জনপ্রিয় অভ্যুত্থানে দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী শাসক ওমর আল-বশিরকে উৎখাত করার পর সুদানকে গণতন্ত্রের পথে পরিচালিত করার লক্ষ্যে গঠিত সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সার্বভৌম কাউন্সিল ভেঙে দেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান।

অভ্যুত্থানের পর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বেসামরিক সরকারের সাবেক প্রধান আব্দাল্লাহ হামদককে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরানোর পরও সামরিক শাসনের বিরোধিতায় দেশটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। সূত্র: রয়টার্স।

নয়া শতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ