আফগানিস্তানের নারী, মেয়ে ও মানবাধিকার রক্ষায় একজন বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানে বিশেষ দূত হিসেবে রিনা আমিরির নাম ঘোষণা করেন। মার্কিন সরকারের সাবেক এই নারী উপদেষ্টা আফগানিস্তান থেকে বিশৃঙ্খলভাবে সেনা প্রত্যাহারের বিরোধী ছিলেন।
রয়টার্স মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, নিরাপদ আফগানিস্তান চাই। যেখানে সব আফগান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অন্তর্ভুক্তিতে বাস করতে পারে। বিশেষ দূত আমিরি আমার সঙ্গে সেই লক্ষ্যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন।
এদিকে, বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি জানান, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন তালেবানের দ্রুত ক্ষমতা দখলের জন্য কেন আফগান জনগণ তাকে দোষারোপ করেছিল। তবে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সহযোগী দেশগুলোকে বিশ্বাস করাই ছিল তার একমাত্র ভুল।
দেশ ছেড়ে পালানোর পর বৃহস্পতিবার প্রথমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ক্ষমতাচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্ট।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের সঙ্গে কথিত শান্তি চুক্তি করেছিল আমেরিকা। সেই সময়ই তার সরকারকে দূরে ঠেলে দেয় ওয়াশিংটন।
আশরাফ গানি বলেছেন, গত ১৫ আগস্ট তার প্রাসাদের নিরাপত্তা বাহিনী যখন জানায় যে তারা প্রেসিডেন্ট বা কাবুলকে সুরক্ষা দিতে অপারগ, তার কয়েক মিনিটের মধ্যে আকস্মিকভাবেই তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুই দশকের যুদ্ধ শেষে গত আগস্টে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে। এরপরই পশ্চিমা-সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে সরিয়ে ফের ক্ষমতায় বসে তালেবান গোষ্ঠী। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশ তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ