লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে এক শিশু ও দুই নারীসহ ২৭ জনের মরদেহ ভেসে এসেছে। ভূমধ্যসগার পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে নৌযানডুবিতে তাদের মৃতু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির লিবিয়া শাখার কর্মকর্তারা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে লিবিয়ার উপকূলীয় শহর খোমসের সৈকতের দুটি পৃথক স্থানে পড়ে ছিল এই লাশগুলো। রাজধানী ত্রিপোলি থেকে খোমসের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার (৫৫ মাইল)।
ভেসে আসা এই মরদেহগুলোতে ইতোমধ্যে পচন ধরেছে উল্লেখ করে লিবিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘লাশগুলোতে পচন ধরেছে। এ থেকে বোঝা যায়, নৌযান ডুবির ঘটনা বেশ কয়েকদিন আগের ‘
লিবিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সৈকতে এক সারিতে ব্যগবিন্দ অবস্থায় পড়ে আছে লাশগুলো।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ লিবিয়ার অপর তীরেই ইউরোপ। মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই বিপজ্জনক পথ দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। প্রতিকূল এই যাত্রাপথে দুর্ঘটনাও খুবই সাধারণ ব্যপার। জাতিসংঘের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১ সালে সমুদ্রপথে নৌযানডুবিতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ শ’ অভিবাসন প্রত্যাশীর।
সমুদ্রের বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি ত্রুটিযুক্ত নৌযান ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণেও ঘটে দুর্ঘটনা।
গত সপ্তাহে লিবিয়ার উপকূলে নৌযান ডুবে ১৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার খোমস শহরের উপকূলে ভেসে এল এই মরদেহগুলো। সামনের দু’-একদিনে আরও লাশ আসতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এসএমডব্লিউ
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ