দীর্ঘ প্রায় ২ বছর করোনার ফাঁড়া অনেকটা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছিল পৃথিবী। কিন্তু এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ইতিমধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে গোটা বিশ্বজুড়ে। তবে এতোদিন ধরে ওমিক্রন নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তার অধিকাংশতেই দেখা গেছে, ভারতে প্রথম শনাক্ত ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কম শক্তিশালী। অবশ্য শক্তি কম থাকলেও তা ডেল্টার চেয়ে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে।
এদিকে, ওমিক্রন আতঙ্কে ক্রিসমাসের আগ মুহুর্তে প্রায় চার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও রয়েছে। ওমিক্রনের কারণে উড়োজাহাজগুলোর কর্মী থেকে শুরু করে ক্রু ও পাইলটরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রই বাতিল করেছে সাড়ে চার শতাধিক ফ্লাইট। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইনস (ইউএএল) বলেছে যে ওমিক্রনের কারণে কিছু ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছিল।
সিএনএন-এর খবরে প্রকাশ, এই সপ্তাহে ওমিক্রনের প্রভাব সরাসরি পড়ছে ফ্লাইট ক্রুদের ওপর। ইউনাইটেড তাদের গ্রাহকদের আগেই এ ব্যাপারে জানিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে ডেল্টা এয়ার লাইনসও তাদের বড়দিনের প্রায় ১৩০টি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করে।
অন্যদিকে ফ্লাইট অ্যাওয়ার নামের একটি সংস্থার মতে, চায়না ইস্টার্ন বাতিল করেছে ৪৭৪টি ফ্লাইট। একইভাবে, এয়ার চায়না বাতিল করেছে ১৯০টি।
এয়ার ইন্ডিয়া, শেনজেন এয়ারলাইনস, লায়ন এয়ার এবং উইংস এয়ার; এরা প্রত্যেকেই কয়েক ডজন করে ফ্লাইট বাতিল করেছে।
অন্যদিকে, অনেক ইউরোপীয় দেশ জানিয়েছে, বড়দিনের পরপর তারা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে। জার্মানিতে ইতোমধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ১০ জনের বেশি জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে সব নৈশক্লাব বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে ২৬ ডিসেম্বর থেকে নৈশক্লাব ও বার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ