গত সোমবার ইরানের দক্ষিণে অবস্থিত বুশেহর অঞ্চলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর নামে পয়গম্বর-ই-আযম নামে পাঁচ দিনব্যাপী সামরিক মহড়া শুরু করেছিল ইরান।
সামরিক মহড়া নিয়ে আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরানের এলিট ফোর্সের এই প্রধান এই মহড়ার বার্তা মারাত্মক এবং ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের কর্মকর্তাদের প্রতি বাস্তব সতর্কতা। এ ইরানের ওপর ইসরাইল সামরিক পদক্ষেপের চিন্তা করলে আমাদের জবাব হবে ভয়াবহ। ইসরাইল হামলা চালানোর মতো ‘ভুল’ করলে আমরা তাদের হাত কেটে নেব।
এদিকে সামরিক মহড়ার শেষ দিনে ইসরাইলকে সতর্ক করে ১৬টি মিসাইল ছুড়েছে ইরান। ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মেহাম্মদ বাঘেরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল যে হুমকি দিয়েছে তার জবাব দিতে পাঁচদিনের সামরিক মহড়া সাজানো হয়। এ সময় তিনি বলেন, মহড়াতে ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে সেগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরাইলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী প্রধান বলেছেন, ‘ইসরাইল যেকোনো সময় এমনকি আগামীকালও ইরানে হামলা চালাতে পারে।’
পরমাণু নিয়ে ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আগামী সোমবার পরমাণু চুক্তি ২০১৫ এর পুনর্জীবনী নিয়ে বিশ্ব শক্তিধর পাঁচ রাষ্ট্র অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে অষ্টমবারের মতো আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। ইসরাইল সতর্ক করে বলেছে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ঠেকাতে ব্যর্থ হলে তারা শক্তি প্রয়োগ করবে। তবে তেহরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য। সূত্র: আরব নিউজ
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ