মিয়ানমার নতুন করে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা এবং ভারী গোলাবর্ষণের মুখে পালিয়ে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। দেশটির থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কারেন প্রদেশে সপ্তাহখানেক ধরে চলা সংঘর্ষের কারণে ভিনদেশ পালাতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে কারেন প্রদেশে অন্তত দুবার বিমান হামলা চালায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। শুক্রবার লে কায় কাও শহরে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে তারা।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও কেএনইউ’র মধ্যে গত সপ্তাহে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর থেকে ওই অঞ্চলের ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। তবে নাগরিক সংগঠনগুলো এর সংখ্যা ১০ হাজারের মতো বলে দাবি করছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কারেন যোদ্ধারা জাতিসংঘের কাছে লে কায় কাও এলাকাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। জান্তার বিমান হামলা ঠেকাতে এই পদক্ষেপ জরুরি বলে দাবি করেছে তারা।
সেন্টার ফর হিউম্যানিটেরিয়ান ডায়লগের এশিয়া ডিরেক্টর মাইকেল ভাটিকিওটিস কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটিকে স্থিতিশীল করতে পারেনি, শক্ত প্রতিরোধও দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মিয়ানমারে আন্তঃসীমান্ত সাহায্য দেওয়ার জন্য থাইল্যান্ড আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই ধরে নিতে হবে এই সমস্যা আরও খারাপ হবে এবং থাইল্যান্ড এসব মানুষকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করবে।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংগ্রাট শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এটি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী থাই জনগণের ওপরও প্রভাব ফেলছে।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ