ভারতের মুম্বাই শহরে বাংলাদেশি যুবতীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এর সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে মুম্বাই শহরের ডিবি মার্গ থানার পুলিশ।
গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম মিড ডে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূক্তভোগী ওই বাংলাদেশি যুবতীর বয়স ২০ বছর এবং কাজের সন্ধানে শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির শিকার হওয়ার পর তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই দুই অভিযুক্তকে আটক করে মুম্বাইয়ের ডিবি মার্গ থানার পুলিশ।
ওই যুবতীর অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্তরা পুলিশের কাছে তার বাংলাদেশি পরিচয় প্রকাশের হুমকি দিয়ে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। এভাবে টানা কয়েক মাস তাকে নির্যাতন করা হয়। এরপরই সাহস করে ডিবি মার্গ থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অবশ্য তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও একজন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী ওই যুবতীর বাড়ি বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার জামালপুর গ্রামে। ১৪ বছর বয়সে তার বিয়ে হয় এবং ১৬ বছর বয়সে তিনি সন্তানের মা হন। একপর্যায়ে স্বামী পরিত্যাক্তা হন তিনি।
স্বামী পরিত্যাক্তা হওয়ার পর ঢাকায় চলে যান ওই যুবতী। কিন্তু সেখানে জীবিকা উপার্জনে ব্যর্থ হয়ে বেশ কিছু নারীর সহায়তা নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় চলে আসেন। সেখানে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ