ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভ্যাকসিন বিপাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশনার সময়: ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৪৯
সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের অনেক দেশ যখন করোনার ভ্যাকসিন স্বল্পতায় ভুগছে, তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সমস্যায় পড়েছে প্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিন নিয়ে। কারণ সংস্থাটির হাতে যত ভ্যাকসিন আছে, তা স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে পাঠানো যাবে না।

স্বল্প ও মাঝারি আয়ের দেশগুলোকে ভ্যাকসিন সহায়তা দিতে এক বছর আগে ‘কোভ্যাক্স’ নামে একটি প্রকল্প খুলেছিল ডব্লিউএইচও এবং ভ্যাকসিন সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভি অ্যালায়েন্স।

তবে প্রকল্প চালু করার প্রাথমিক পর্যায়ে দরিদ্র দেশগুলোতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, এক বছরে তার ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি কোভ্যাক্স। তার প্রথম কারণ- বরাবরই চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন ডোজের সংকটে ভুগেছে কোভ্যাক্স এবং দ্বিতীয় কারণটি হলো- উন্নত দেশগুলো এই প্রকল্পে তাদের মজুত থেকে যেসব ভ্যাকসিন দিচ্ছে- সেগুলো বড় অংশ অল্প সময়ের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

অর্থাৎ, গণটিকাদান কর্মসূচীতে ব্যবহারের জন্য কেনা যেসব ভ্যাকসিন শেষ পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি এবং দীর্ঘসময় পড়ে থাকার কারণে আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে- এমন সব ডোজই কোভ্যাক্সে দান করছে অনেক ধনী রাষ্ট্র।

ফলে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ডোজ পৌঁছানোর পর তা টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করার আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে সেগুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন বিভাগের পরিচালক কেট ও’ব্রায়েন বৃহস্পতিবার জেনেভায় ডব্লিউ এইচ ও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে কোভ্যাক্সের এসব সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন পাঠিয়েও আফ্রিায় ভ্যাকসিনদান পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছে না; এবং তার একটি বড় কারণ, দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের চালান পাঠানোর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ