গত দুই বছর ধরে করোনা থাবায় নাজেহাল গোটা বিশ্ব। এর মধ্যেই ভাইরাসটির নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ওমিক্রন’। ওমিক্রন আগের সব ধরনের চেয়ে বেশি ভয়াবহ ও সংক্রামক হবে এমন আভাস দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এতে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশে দেশে শুরু হয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলার জোর প্রস্তুতি।
এরিমধ্যে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের তিন ডোজের ভ্যাকসিন কার্যকর বলে জানায় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয় সময় বুধবার ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকই প্রথম যারা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করলো।
যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান দুটি জানিয়েছে, তাদের দুই ডোজ টিকা উল্লেখযোগ্য কম হারে অ্যান্টিবডি সক্রিয় করছে। তবে তৃতীয় ডোজটি অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের দেহে তৃতীয় ডোজ দেওয়ার প্রায় এক মাস পর সংগৃহীত রক্তের নমুনায় বিষয়টি দেখা গেছে।
এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান আলবার্ট বোরলা বলেছেন, ‘যতো বেশি সম্ভব মানুষকে দুই ডোজ সিরিজের টিকা দেওয়া নিশ্চিত করা এবং একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া হলে তা হবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধের সবচেয়ে সেরা পন্থা।’
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ