ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত, প্রাণহানি বেড়েছে ম্যালেরিয়ায়

প্রকাশনার সময়: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৪০
সংগৃহীত ছবি

গত বছরের পুরো সময়টাই কেটে গেছে বৈশ্বিক মহামিারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। প্রায় দুই বছরে মাহারিতে প্রাণ গেছে অর্ধকোটির বেশি মানুষের। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর বিশ্ব স্বাভাবিকের দিকে হাঁটলেও প্রথমে ডেলটা এবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন চোখ রাঙাচ্ছে। কিন্তু এর ফলে ম্যালেরিয়া নামক ভয়ানক এক ব্যাধি থেকে মনোযোগ সরে যাওয়ায় এক বছরে এ রোগে মৃত্যু বেড়েছে ৬৯ হাজার। ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচও জানায়, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে সর্বমোট ৫ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। অন্যদিকে করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়ায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ লাখ ২৭ হাজারে।

অর্থাৎ করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ম্যালেরিয়ায় ৬৯ হাজার মানুষের মৃত্যু বেশি হয়। প্রাণ হারানোদের বেশিরভাগই শিশু এবং তারা আফ্রিকার বিভিন্ন দরিদ্র অঞ্চল ও দেশের বাসিন্দা। অন্যদিকে করোনা মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসের কারণে আফ্রিকায় মোট প্রাণহানি হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০২০ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বেশি প্রাণহানির কারণ ছিল করোনাভাইরাস বিষয়ক বিধিনিষেধ। মূলত মহামারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণেই বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ, শনাক্ত এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান বাধাগ্রস্থ হয়।

২০২০ সালে আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দ্বিগুণ হতে পারে বলে এর আগে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সংস্থাটির হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও করোনা মহামারির মধ্যে ওই অঞ্চলে ম্যালেরিয়ায় প্রাণহানি খুব বেশি বাড়েনি।

ডব্লিউএইচও এই বিষয়টিকে ইতিবাচক বলছে। দ্বিগুণের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ২০১৯ সালের তুলনায় আফ্রিকার ওই অঞ্চলে ম্যালেরিয়ায় প্রাণহানি বেড়েছে মাত্র ১২ শতাংশ।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ