ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকাগুলিতেও দমকা হাওয়ার তেজ বাড়ছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর বা বিকালের দিকে ওড়িশ্যার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা জাওয়াদের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দিঘা, মন্দারমণিসহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকায় শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে ।
ঘন কালো মেঘ আরও ঘনীভূত হয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। পাশাপাশি, বাতাশের গতিবেগও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্রও।
এক দিকে জাওয়াদের প্রভাব, অন্য দিকে ভরা কটাল— এই দুইয়ের প্রভাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ পারে তারই আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই আগেভাগেই দ্রুত খালি করা হয়েছে দিঘার সমুদ্রতট।
মাইকিং করে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা সমুদ্র সৈকতে টহলদারি চালাচ্ছেন। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর সর্বত্রই সমুদ্রতট থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের।
দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, সাপ্তাহিক ছুটির মুখে এমন দুর্যোগের খবর পর্যটকরা দিঘায় আগাম বুকিং বাতিল করেছেন। অনেকেই আবার দিঘা ছেড়ে বাড়িমুখো হচ্ছেন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে রোববার ভোর থেকে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদী বন্দরকে ১ নম্বর নৌ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার, অস্থায়ী বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ