বৈশ্বিক মহামারি করোনার আফ্রিকার নতুন ধরন (ভেরিয়েন্ট) ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর দ্রুতগতিতে বিদেশ থেকে আগমন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাপান সরকার। সেই সাথে বিদেশ থেকে সদ্য আসাদের করোনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া জোরদার করা হয়। এসব পরীক্ষার ফলে এর মধ্যে দুই ব্যক্তির দেহে ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে তড়িঘড়ি আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে জাপান সরকারকে। জাপানের পরিবহন মন্ত্রণালয় গতকাল প্রচারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশ ও বিদেশের বিমান কোম্পানিগুলোকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে জাপানে আসার জন্য সব রকম ভ্রমণসংক্রান্ত বুকিং স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। ফলে হঠাৎ করেই এ রকম সম্ভাবনা দেখা দেয় যে জাপানগামী ফ্লাইটের বুকিং যারা এখনো করেননি, বিদেশে অবস্থান করা সে রকম জাপানি নাগরিক ও জাপানে বসবাসের ভিসা লাভ করা বিদেশিরা হয়তো এ বছর জাপানে ফিরে আসতে সক্ষম হবেন না।
যার ফলে বিদেশে আটকা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার মুখে পড়তে হওয়া জাপানি ও বিদেশিদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়ার পাশাপাশি বিমান পরিবহন কোম্পানিগুলোও বুঝে উঠতে পারছিল না এসব যাত্রীদের নিয়ে তাদের কী করা উচিত। ফলে বিমান কোম্পানির পক্ষ থেকেও জাপান সরকারের প্রতি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারির এক দিন পর জাপান সরকার এখন বলছে, ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে সরকারের দ্রুত গ্রহণ করা পদক্ষেপ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে সমালোচনা জোরদার হয়ে আসার মুখে বিমান কোম্পানিগুলোকে জানানো এক দিন আগের অনুরোধ সরকার প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে এয়ারলাইন্সগুলোকে সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা, সেটি ছিল জরুরি সতর্কতামূলক একটি পদক্ষেপ। তবে বিমান কোম্পানিগুলো বলছে, আদতে সেটি ছিল মাত্রাতিরিক্ত কঠোর। দেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা করা বিদেশে অবস্থানরত জাপানিরা এতে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও বৃহস্পতিবার স্বীকার করেছেন যে, ওই পদক্ষেপ বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই দেশে ফিরতে ইচ্ছুক জাপানি নাগরিকদের অনুরোধ যথাযথভাবে বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মহামারি শুরুর পর জাপানে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে টিকা দেয়ার হার প্রায় ৭৭ শতাংশ।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ