চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রতিদিন গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আড়াই হাজার করে করোনা পজিটিভ হলেও গতকাল বুধবারে তা এক লাফে সাড়ে ৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে। প্রাদেশিক হিসেবে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৬ হাজার ১৬৮ জন করোনা আক্রান্ত নিয়ে হটস্পট খ্যাতি ধরে রেখেছে ঘাটিং প্রদেশ।
এদিকে, দেশটিতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে যে ভয় ছিল, কর্তৃপক্ষের মতে দেশটির করোনা পরিস্থিতিতে তেমন কোনো ভয়ংকর পরিবর্তন দেখা যায়নি। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি তেমন ভয়ংকর নয়। তবে চিকিৎসক দল সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন।
দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রিচার্ড লেসেলস ওমিক্রন নিয়ে দেয়া এক প্রাথমিক মন্তব্যে বলেছিলেন, আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় রোগীদের শরীরে তেমন কোনো ভয়ংকর অবনতি দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে চলেছেন। বর্তমান আক্রান্তদের শারীরিকভাবে তেমন কোনো বড় সমস্যা হচ্ছে না। কেউ কেউ বাড়িতে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের আইসিইউ ব্যবহার করতে হচ্ছে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের চেয়ারপার্সন ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি বলেন, এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে ওমিক্রনের তেমন কোনো ভয়ংকর চরিত্র পাওয়া যায়নি। তবে দেশটিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ লাখ ৮১ হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৪৬ জনের। সুস্থতার হার শতকরা ৯৮ শতাংশ।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ