অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টে এক ধরনের ভয়াবহ যৌন সংস্কৃতির তথ্য ওঠে এসেছে একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সাবেক এক কর্মী ব্রিটানি হিগিনস মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে এক সহকর্মীর কাছে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করার পর ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়।
৭ মাসের তদন্তের পর মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগে কর্মীরে যৌন হয়রানির এই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
‘সেট দ্য স্টান্ডার্ড’ নামক এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫১ শতাংশ কর্মী কোনও না কোনও ভাবে হয়রানি, যৌন হয়রানি কিংবা যৌন নিপীড়ন প্রচেষ্টার শিকার হয়েছেন।
এক হাজার ৭২৩ জন এবং ৩৩টি সংস্থার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়।
এতে দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ নারী পার্লামেন্ট কর্মীর যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাজনৈতিক কর্মীদের বেলায় এই হার আরও বেশি।
প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসা তথ্য ভয়ঙ্কর বলে বর্ণনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
পার্লামেন্টে নারীদের এমন বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হওয়ার বিষয়টি আমলে না নেওয়ার জন্য মরিসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আগে থেকেই।
যৌন হয়রানি কমাতে প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে নেতৃত্ব এবং নারী-পুরুষের ভারসাম্য পরিস্থিতি উন্নত করা এবং মদ্যপান কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ