প্রথমবারের মত ভারতে পুরুষের থেকে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সদ্য প্রকাশিত দেশটির জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে প্রতি এক হাজার জন পুরুষের বিপরীতে বর্তমানে নারীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জন। দেশটির ইতিহাসে আগে কখনো এমনটা হয়নি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালে জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায় নারী এবং পুরুষের অনুপাত দাঁড়িয়েছিল ৯৯১: ১০০০। ২০০৫-০৬ সালের জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষায় পুরুষ এবং নারীর সংখ্যা সমান ছিল। অর্থাৎ প্রতি ১ হাজার জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ছিল ১ হাজার জন। ২০১৫ সালে ভারতে এক হাজার জন পুরুষ অনুপাতে নারীর সংখ্যা ছিল ৯২৭।
সমীক্ষা বলছে, ভারতের অধিকাংশ প্রদেশেই জন্মহার ২ বা তার নিচে রয়েছে। তবে এখনো মণিপুর ও মেঘালয়ে জন্মহার বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম কারণ গত চার বছরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বাড়ানো হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এ সময়ে আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারের হার ৫৪ থেকে বেড়ে ৬৭ হয়েছে।
সমীক্ষাটি ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে করা হয়। ভারতের ৭০৭টি জেলার ছয় লাখ ৫০ হাজার জনের বাড়িতে চালানো হয় সেই সমীক্ষা।
প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষায় ২২টি প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জরিপ করা হয়েছিল। যার ফলাফল গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪টি প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জরিপ করা হয়েছে, যার ফলাফল গতকাল বুধবার প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের পদক্ষেপগুলো সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে। লিঙ্গ অনুপাত আমরা বলতে পারি ভারত উন্নত দেশগুলোর কাতারে চলে গেছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ