ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পিঠে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে অবস্থান

প্রকাশনার সময়: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০০:৫১
সংগৃহীত ছবি

স্ত্রী-সন্তানকে ফেরত চেয়ে শ্বশুরবাড়িতে অনশন করেছেন হরিদাস মণ্ডল নামের এক যুবক। এ সময় তিনি পিঠে একটি পোস্টার লাগিয়ে রাখেন। এতে লেখা ছিল, ‘আমার বউ আমার ফেরত চাই। ’

গত মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার কাঠামবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হরিদাস মণ্ডল নামে ওই যুবক মালবাজারের ক্রান্তি ব্লকের কাঠামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। বছর চারেক আগে জ্যোৎস্না মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে তাদের।

হরিদাসের দাবি, বছরখানেক আগে সামান্য কারণে দাম্পত্য অশান্তি হয়। তারপরই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান হরিদাসের স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা জোর করে তার স্ত্রী-সন্তানকে আটকে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

তবে এ ব্যাপারে অন্য কথা বলছেন হরিদাস মণ্ডলের স্ত্রী জ্যোৎস্না। তিনি বলেন, আমি কোনমতেই হরিদাসের সঙ্গে সংসার করতে চাই না। কারণ, স্বামী আমার উপর শারীরিক অত্যাচার করে। সে কারণে আমি বাপের বাড়ি চলে এসেছি। এতে আমার বাবা-মার কোনও দোষ নেই।

জ্যোৎস্না মণ্ডল আরও বলেন, কয়েকদিন আমার বাপের বাড়িতেও ছিলেন স্বামী হরিপদ। বাপের বাড়িতেও আমাকে মারধর করত সে। আমি আর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই না। এভাবে অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না। তাই আমি মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতে চাই। আমার এবং মেয়ের খরচ দিতে হবে স্বামীকেই।

এদিকে, স্ত্রী এবং সন্তানকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধরনায় বসেন হরিদাস। হাতে ছিল স্ত্রী এবং সন্তানের ছবি। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত স্ত্রী এবং সন্তান ফিরে পাচ্ছি ততক্ষণ আমার ধরনা চলবে। এর জন্য মরতেও রাজি আমি।

পরে থানার পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আশ্বাসে ধরনা প্রত্যাহার করেন হরিদাস।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ