ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার অস্ত্রে তালেবানের কুচকাওয়াজ

প্রকাশনার সময়: ১৬ নভেম্বর ২০২১, ০৩:৫৯

নিজেদের সামরিক সক্ষমতা দেখাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সড়কে অস্ত্রের প্রদর্শনী করেছে শাসকদল তালেবানের যোদ্ধারা। যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত সাঁজোয়া যান আর রাশিয়ার হেলিকপ্টার প্রদর্শনের পাশাপাশি রোববার কুচকাওয়াজেও অংশ নেয় তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনের যোদ্ধাদের অন্য সব দেশের মতো সুবিন্যস্ত সেনাবাহিনীতে রূপ নেয়ার চেষ্টা দেখাতেই তালেবানের এ উদ্যোগ। দুই দশকের বেশি সময় বিদ্রোহী সংগঠন হিসেবে আফগানিস্তানে সক্রিয় ছিল তালেবান। চলতি বছরের আগস্টে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। আন্তর্জাতিক জোটের বিদায় ও পশ্চিমা সমর্থিত সরকার পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ফেলে যাওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র নিজেদের ভান্ডারে যোগ করেছে তালেবান। তালেবানশাসিত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি জানান, বাহিনীতে নতুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫০ জন সেনা যোগ দেয়ায় কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে কাবুলের সড়ক ধরে ধীরে ধীরে চালানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধশতাধিক এম১১৭ সাঁজোয়া নিরাপত্তা যান; আকাশে ওড়ানো হয় এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। যুক্তরাষ্ট্রের এম৪ রাইফেল বহন করছিল সেনারা।

বর্তমানে তালেবানশাসিত সরকারের ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্র আর সামরিক সরঞ্জামই আফগানিস্তানে এসেছিল সাবেক সরকারের আমলে, ওয়াশিংটন থেকে। তালেবানবিরোধী যুদ্ধে আফগান সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে গত ২০ বছরে এসব অস্ত্র দিয়েছিল আমেরিকান সরকার।

কিন্তু আন্তর্জাতিক জোটের সেনাদের বিদায়ের পর তালেবানের আগ্রাসনের বিপরীতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আফগান সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিপুল সামরিক অস্ত্রভান্ডার কব্জা করে তালেবান। তালেবান জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সাবেক সেনাবাহিনীর পাইলট, যন্ত্রকৌশলী ও অন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়েই গঠন করা হচ্ছে নতুন সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে তালেবান যোদ্ধারাও এতদিনের পরনে থাকা ঐতিহ্যবাহী আফগান পোশাক ছেড়ে ধরছে প্রচলিত সামরিক পোশাক। আফগানিস্তান পুনর্গঠনবিষয়ক বিশেষ মহাপরিদর্শকের গত বছর প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আফগান সরকারকে দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আছে অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাঁজোয়া যান, যুদ্ধবিমান, নজরদারির প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। যুদ্ধবিমানগুলোর কয়েকটি নিয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কিছু সেনা। বাকি সব তালেবানের দখলে।

এর মধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে কতগুলো, তা অস্পষ্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান থেকে বিদায় নেয়ার সময় ৭০টির বেশি যুদ্ধবিমান, সাঁজোয়া যান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ