ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আবার আলোচনায় মমি সৌরনৌকা

প্রকাশনার সময়: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৫:২৬
সংগৃহীত ছবি

প্রত্নতত্ত্ব আর পুরাকীর্তি রহস্যময় ইতিহাসে ভরপুর মিসরীয় সংস্কৃতি। দেশটি ভ্রমণে প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরাতন ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি হলো মিসরের পিরামিড। হাজার হাজার বছরের পুরাতন মমি ও বিভিন্ন অজানা রহস্যের কারণে মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পাশাপাশি অবস্থান করা তিনটি পিরামিড।

ইতিহাসবিদদের মতে, এই পিরামিডগুলো নির্মাণ করেছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকের সম্রাট খুফু। তবে, খুফুর শাসনামল নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। কেউ বলছেন তিনি ২৩ বছর রাজত্ব করেছেন, কেউ বলছেন ৪৬ বছর, আবার কেউ কেউ বলছেন ৬৩ বছর রাজত্ব করেছেন। খুফুকে খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৬৬ সালে তার তৈরি পিরামিডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় পিরামিড ‘গ্রেড পিরামিড অব গিজা’তে সমাহিত করা হয়। মিসরীয়রা মৃত্যুর পর মৃতদেহ কিংবা মমির সঙ্গে তার ব্যবহৃত ও প্রিয় বিভিন্ন জিনিস সমাধি দিত। আর খুফুর সমাধির পাশের একটি গর্তে মাটিচাপা দেয়া ছিল তার ব্যবহৃত একটি সোলার বোট বা সৌরনৌকা।

১৯৫৪ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় এ প্রাচীন নৌকাটি। অবিশ্বাস্যভাবে, চার হাজার ৬০০ বছরের পুরোনো এ নৌকা এখনো অক্ষত রয়েছে। যেন মানুষের মরদেহগুলোর মতো নৌকাটিকেও মমি করে রাখা হয়েছে। মিসরীয়রা বিশ্বাস করত, এসব নৌকায় চড়ে তারা মৃত্যুর পরের জীবনে পাড়ি জমাবে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, গ্রেট পিরামিডের দক্ষিণ কোণে এটি পাওয়া যায়।

ডেইলি মেইল জানায়, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকের সম্রাট খুফুর তৈরি এ সৌরনৌকা লম্বায় ৪২ মিটার (১৩৮ ফুট) ও এর ওজন ২০ টন। মিসরের গ্র্যান্ড জাদুঘরে এটিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। এটিকে স্থানান্তরের জন্য একটি বিশেষ ধাতব বক্স তৈরি করা হয়। এরপর ওই বক্সে পুরো নৌকাটি ঢোকানো হয়। তারপর এটি বহন করার জন্য বেলজিয়াম থেকে আনা বিশেষ একটি গাড়ি গ্র্যান্ড জাদুঘরে নিয়ে যায়। স্থানান্তরের যাত্রা শুরু করার ১০ ঘণ্টা পর তা গন্তব্যে পৌঁছায়। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। এমন ধাঁচের নৌকা পৃথিবীতে হয়তো দ্বিতীয়টি নেই। এ কারণেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌরনৌকার তকমা পেয়েছে এটি। ফেরাউন সম্রাটের সবচেয়ে প্রিয় ছিল এই সৌরনৌকাটি।

এর আগে চলতি বছর এপ্রিলে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয় দ্বিতীয় রামেসিস ও রানি হাৎশেপসুৎসহ ফারাও রাজবংশের ২২ সদস্যের মমি। মিসরে এসব মমিকে বিবেচনা করা হয় জাতীয় সম্পদ হিসেবে।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ