ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চীনের নতুন সন্দেহ, সংক্রমণ ঠেকাতে ভিন্ন কৌশল

প্রকাশনার সময়: ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০৭:১৫

সম্প্রতি চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। যার ফলে দেশটির একাধিক শহর ও প্রদেশে লকডাউনসহ কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র চাওয়াং ও হাইদিয়ানে ১২ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একাধিক ভবন সিল করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বহু স্কুল-অফিস।

এই পরিস্থিতিতে চীনা প্রশাসনের নয়া সন্দেহ, শিশুদের পোশাকের প্যাকেটের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ।মূলত অনলাইন শপিংকেই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এভাবে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপও নিয়েছে দেশটির প্রশাসন।

বছর শেষের আগেভাগে চীনা শপিংমল ও অনলাইন কেনাকাটার অ্যাপগুলো জামাকাপড়সহ অন্যান্য সামগ্রীর ওপর ব্যাপক ছাড় দিতে শুরু করেছে। ফলে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে।

চীনা প্রশাসনের আশঙ্কা, জামা কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র যে পার্সেলে করে আসছে, তা থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সম্প্রতিই চীনের হুবেই প্রদেশে শিশুদের জামাকাপড় তৈরি করেন এমন তিনজন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। এই ঘটনার পর নির্দেশ দেয়া হয়েছে, ১২শ মাইল দূরেও কেউ যদি ওই সংস্থার পার্সেলের সংস্পর্শে আসেন, তবে তারাও যেন অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেন।

দক্ষিণ-পূর্ব চীনের গুয়াংশি প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একই কারণে হুবেই প্রদেশের একটি ই-কমার্স কোম্পানির ৩০০ পার্সেল পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। যদিও তাতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।

সংক্রমণ রুখতে শিংজি, সেনজেন শহরে অনলাইন শপিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফ্রোজেন খাবার বা মাছ, মাংস থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে আসা পার্সেলের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। দেশের মধ্যেও যেকোনো সামগ্রীর প্যাকেজিং ও খোলার সময় অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ