বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীই নিজেদের পড়ালেখার খরচ মেটাতে হিমশিম খান। কেউ আবার বাড়তি উপার্জনের পথ খোঁজেন। এ জন্য ব্রিটেনের অনেক শিক্ষার্থীই যৌনপেশাকে বেছে নেন। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। এ অবস্থায়ই শিক্ষার্থীদের পতিতাবৃত্তি শেখাতে প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে দেশটির ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, কীভাবে এই গোটা প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন। ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক মন্ত্রী মিশেল ডোনিলান অবশ্য বলেছেন, এভাবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্স আয়োজন করা যায় না। শিক্ষার্থীরা যৌনকর্মী হয়ে উঠলে, তা আটকানোর দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। যৌনতা বিক্রি করার বিষয়টিকে স্বাভাবিক করে তোলার মানে হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেছেন, এই ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন একটি বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য কর্মশালা আয়োজন করা একেবারেই উচিত নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত, তারা হয় তো এই ধরনের উদ্যোগে সামিল হয়ে কিছুটা মানসিক জোর পাবেন। কারণ অন্য কোনো ক্ষেত্র থেকে তারা এই বিষয়ে মানসিক জোর পান না।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ব্রিটেনে ৩ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জরিপ চালিয়ে জানা যায় প্রতি ২০ জনের একজন পড়ালেখার খরচ মেটাতে যৌনপেশায় যুক্ত। ‘সেভ দ্য স্টুডেন্টস’ ওয়েবসাইটের তথ্যমতে এই সংখ্যা ২০১৭ সালে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর অর্থ ২ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫ হাজার শিক্ষার্থী ব্রিটেনে এই পেশায় যুক্ত।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ