ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এলিয়েন আসে যেখানে!

প্রকাশনার সময়: ১২ নভেম্বর ২০২১, ২২:২১

আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এসেও ভিনগ্রহের প্রাণী এলিয়েন নিয়ে রয়েছে মানুষের অনেক কৌতূহল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীতে যেমন মানুষ বসবাস করে, তেমনি অন্য গ্রহগুলোতেও আছে প্রাণের অস্তিত্ব।

আর সেই প্রাণের তথ্য কী শুধুই ধারণা, নাকি সত্যি তা প্রমাণ করতে কাজ করে যাচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের বিজ্ঞানীরা। বলা হয়ে থাকে, মানুষ যেমন এলিয়েনের অস্তিত্বের খোঁজে আছে, তেমনি এলিয়েনও এই পৃথিবী সম্পর্কে জানতে ছুটে আসে। এসব এলিয়েনের আসা-যাওয়া নিয়ে হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিনেমাও তৈরি করা হয়েছে। যা হোক, এলিয়েন সম্পর্কে আগ্রহীদের প্রশ্ন পৃথিবীর কোন প্রান্তে আসে এলিয়েন?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে একটি অঞ্চলের তথ্যই ঘুরে ফিরে আসে। অঞ্চলটি হলো উত্তর মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়ান। এই মরু অঞ্চলের একটি ‘বিশেষ’ জায়গা আছে যেখানে নাকি ভিনগ্রহের প্রাণীদের আনাগোনা বেশি। ৫০ কিলোমিটারের এই এলাকাটিকে ‘জোন অব সাইলেন্স’ বলা হয়ে থাকে। বিখ্যাত বারমুডা ট্রায়াঙ্গল আর জোন অব সাইলেন্স একই অক্ষাংশে অবস্থিত। এমনকি রহস্যময় এই ট্রায়াঙ্গলের সঙ্গেও একে তুলনা করা হয়।

আলোচনা আছে, এই মরুভূমির সর্বত্রই রহস্যের আনোগোনা। যার কূল-কিনারা আজো কেউ করতে পারেননি। কারণ, এ স্থানটিতে রেডিও সিগন্যাল কাজ করে না। এমনকি কম্পাসের কাঁটা অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরতে শুরু করে। রাতে এ এলাকাটিতে কেউ গেলে তার মনে হবে- তিনি অন্য কোনো গ্রহে চলে এসেছেন। প্রচণ্ড অন্ধকার আর ভুতুড়ে পরিবেশে এখানে রাতে উল্কা বৃষ্টি নামে। অবিরাম এই উল্কার পতন দেখলে যে কেউই হতভম্ব হয়ে যাবেন। আরো নানা সব আজব ব্যাপার এখানে ঘটতে দেখা যায়। ওই এলাকায় কোনো গাড়ি চললে হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয়ে যায়।

এরকম রহস্যময় সব কারণে এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে ‘জোন অব সাইলেন্স’ বা নীরবতার অঞ্চল। এটলাসওবসকোরা.কমের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটিতে কোনো মানুষের বসতি নেই। ১৯৬৬ সালে এই অঞ্চলের এমন নামকরণ হয়। ওই বছর প্রিমেক্স নামের একটি তেল উৎপাদনকারী সংস্থা এই অঞ্চল পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠায়। যে দলটি ওই এলাকায় পৌঁছেছিল তার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অগাস্ত হ্যারি দে লা পিনা নামের এক ব্যক্তি। তিনি লক্ষ করেছিলেন ওই অঞ্চলে পৌঁছানোর পরই তার রেডিওর সিগন্যাল চলে যাচ্ছে। তারপর তিনিই এই অঞ্চলের এমন নামকরণ করেন।

এর কয়েক বছর পর ১৯৭০ সালে ওই অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নাসার এথেনা নামের একটি রকেট ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনার পর রকেটটি কেন সেখানে ভেঙে পড়েছে তার প্রকৃত কারণ জানার জন্য ভন ব্রাউন নামের এক বিজ্ঞানীকে এই অঞ্চলে পাঠায় নাসা। ভন সেখানে ৩০০ জন কর্মী নিয়ে ২৮ দিন অবস্থান করেছিলেন। ভনের কাটানো ২৮ দিনই এই অঞ্চল নিয়ে রহস্যময় ধারণার জন্ম দেয়।

শ্রমিকদের কেউ নাকি ভিনগ্রহীদের ঘোরাফেরা করতে দেখেন, আবার কেউ কেউ নাকি হঠাৎ হঠাৎ আকাশে আলোর বিচ্ছুরণ প্রত্যক্ষ করেন। এই অঞ্চলে নাকি এমন কিছু প্রাণী এবং উদ্ভিদের দেখা মেলে যা রহস্যজনক। এখানকার পোকামাকড়গুলো স্বাভাবিক পোকামাকড়ের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বড়। এখানকার ক্যাকটাস গাছগুলো বিশালাকার, যার রং টকটকে লাল। বিজ্ঞানী এবং ইউএফও গবেষকদের কাছে এই এলাকাটি চরম আকর্ষণের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। এর রহস্যময়তার নানা দিক নিয়ে তারা গবেষণা করে চলছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো রহস্যের সমাধান হয়নি।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ