২০২৩ সালে কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে এক টুইটে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল-মাকতুম।
তিনি বলেন, ‘এ সম্মেলন সফল করতে আমরা যথাসম্ভব সব কিছু করব। আমিরাত পৃথিবীকে রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বৈশ্বিক তৎপরতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’
বহু বছরের মধ্যে এটিই হবে মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয়বার এবং ওপেকভুক্ত কোনো দেশে তৃতীয়বারের মতো বার্ষিক জলবায়ু আলোচনা। আমিরাতের আগে ২০১২ সালে ওপেকভুক্ত দেশ কাতার এবং তারও আগে ২০০৭ সালে ইন্দোনেশিয়া জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করেছিল। আগামী বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করবে মিসর।
আর এর পরের বছর ২০২৩ সালে জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন সম্পর্কে ইউএইর জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী মরিয়ম বিন্তে মোহাম্মদ আল হাইরি টুইটারে বলেছেন, তারা বৈঠক অনুষ্ঠান করতে প্রস্তুত, যে বৈঠক জলবায়ু পরিবর্তন রোধের লড়াইয়ে দেশগুলোর প্রচেষ্টায় গতি সঞ্চার করবে।
এই বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সমাজের সবচেয়ে গতিশীল অংশ- আমাদের যুবাদেরকে- নানা বৈঠক এবং আলোচনায় জড়িত করার বড় ধরনের সুযোগ পাব এবং তা শেষ পর্যন্ত আগামী কয়েক প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে, বলেন তিনি।
ওদিকে, শুক্রবারই শেষ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন। বৃহস্পতিবার সম্মেলনে অল্প কয়েকটি দেশ একটি জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, যারা তেল ও গ্যাস উৎপাদন ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে। তাছাড়া, শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দুই দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তি ঘোষণা করেছে। এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। যদিও পরিবেশকর্মীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের আরও করার আছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ