ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে রাজ্য সরকার গঠনের ছয় মাস পর মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। অর্থ, পঞ্চায়েত, ক্রেতা সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা। ফলে, তার হাতে থাকা মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা পৌঁছেছে আটে।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে মমতার হাতে থাকা মন্ত্রণালয়সমূহ হলো- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি, কর্মী-প্রশাসনিক সংস্কার ও ই- গভর্ন্যান্স, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও অর্থ মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, টানা তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখার্জিকে পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন মমতা ব্যানার্জি। দল ও রাজ্যের সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে মমতার আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। তবে বর্ষীয়ান এ নেতার মৃত্যুর পর পঞ্চায়েতমন্ত্রীর অতিরিক্ত দায়িত্বে আনা হয়েছে বিধায়ক পুলক রায়কে। তিনি বর্তমানে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
অর্থ দপ্তরের মন্ত্রী অমিত মিত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে। অসুস্থতার কারণে ২০২১ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি অমিত। ফলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি অর্থমন্ত্রীর পদে আর থাকতে পারবেন না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ মন্ত্রণালয় নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা।
তবে অমিত মিত্রকে ছাড়তে নারাজ মমতা ব্যানার্জি। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থ দপ্তরের মুখ্য উপদেষ্টা করেছেন। এ পদে থাকলেও তিনি পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন।
অন্যদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ে মমতার সহকারী অর্থাৎ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আনা হয়েছে পৌরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। একইসঙ্গে চন্দ্রিমা পুর ও নগরোন্নন দপ্তরের দায়িত্বেও বহাল থাকবেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দপ্তরে যেতে পারছিলেন না ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সেখানেও পরিবর্তন এনেছেন মমতা। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দায়িত্বে আনা হয়েছে মানস ভূঁইয়াকে। তিনি এর আগে পানিসস্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংক্রান্ত দপ্তরের দায়িত্বে আনা হয়েছে শশী পাঁজাকে। তিনি নারী ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে এ দপ্তরে আসছেন। এছাড়া শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের পাশাপাশি শিল্প পুনর্গঠন দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন পার্থ চ্যাটার্জি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ