ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
করোনাভাইরাস

যে কারণে দক্ষিণ এশীয়দের মৃত্যুঝুঁকি বেশি

প্রকাশনার সময়: ০৬ নভেম্বর ২০২১, ০৭:২৭
ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত হলে ফুসফুস বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে এমন জিনের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এমন একটি জিনের সন্ধান পেয়েছেন। তাদের গবেষণা বলছে, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে ৬০ শতাংশের শরীরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এ ধরনের জিন রয়েছে। তবে করোনার টিকা এ ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাদের ‘দ্য নেচার জেনেটিকস’ গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বংশোদ্ভূত ৬০ শতাংশ এবং ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের ১৫ শতাংশ মানুষের শরীরে ‘এলজেডটিএফএলওয়ান’ নামের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জিনটি রয়েছে। কেন যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ করোনার উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, সে দিকটি সামনে এনেছে এ গবেষণা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

জিন নিয়ে আগের করা কিছু কাজের ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা এ জিন চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নতুন জৈবাণুপ্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন।

গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক জেমস ডেভিস বলেন, এ ঝুঁকিপূর্ণ জিনের ধরনটি সব মানুষের শরীরে সমানভাবে কাজ করে না, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বয়সসহ নানা কারণে ঝুঁকির মাত্রা কম–বেশি হয়। নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর মানুষই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে কেন, এর পেছনে কারণ ব্যাখ্যা করতে গেলে আর্থসামাজিক দিকটিও বিশ্লেষণ করে দেখা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, যদিও আমরা আমাদের জিন পাল্টাতে পারব না, কিন্তু আমাদের গবেষণার ফলে দেখা গেছে এ ধরনের জিনবাহক ব্যক্তিরা টিকা থেকে বিশেষ উপকার পেয়েছেন।

গবেষকেরা বলছেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে জিনটি ফুসফুসকে আক্রান্ত হতে দিলেও শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। এর মানে উচ্চ ঝুঁকির এই জিনবাহী মানুষেরাও টিকা থেকে সুরক্ষা পেতে পারেন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ