পর্তুগালে আগামী ৩০ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সজা বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
গত সপ্তাহে দেশটির ২০২২ সালের বাজেট সংসদে উপস্থাপন করা হয়। সংসদে বাজেট অনুমোদন সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এখন বাজেট অনুমোদন করতে হলে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। ফলে দেশের প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হয়েছে।
বাজেটের বিরোধিতাকারী দলগুলো বলছে এই বাজেট গণমুখী নয়। এমনকি সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বাজেট প্রণয়ন হয়নি যদিও বাজেটের মাত্র কয়েকটি বিষয়ের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল পিএসডি বলছে একটি বামপন্থি দল সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও সঠিকভাবে বেতন বাড়ানো হচ্ছে না এবং এ বাজেটেও খুবই সামান্য বৃদ্ধি উল্লেখ করা আছে।
তবে ক্ষমতাসীন বলছে এই বাজেট মহামারিপরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে; তাছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূরদর্শী পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বিত। যদি দুই-একটি খাতে কোনো তারতম্য থাকতে পারে তবে তা যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার সরকার ক্ষমতায় আসে। বাজেট অনুমোদন না হওয়ায় এটিকে সরকারি দলের একটি বড় পরাজয় হিসেবে দেখছেন অনেকে। দেশটিতে স্বাধীনতা-পরবর্তী ৪৫ বছরে এই প্রথম রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হলো।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ