ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রকৃতির মাঝে হালস্টাট গ্রাম

প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২১, ০৪:১৭

বার্গেনল্যান্ড থেকে লেক কন্সটান্সের মধ্যকার দেশ অস্ট্রিয়ার ছোট্ট নিকোনো একটি গ্রামের নাম হালস্টাট। বিশ্বের সুন্দরতম গ্রামগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। প্রতি বছর কমপেক্ষ ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক ছোট্ট এ গ্রামটি ভ্রমণে যান। কারণ এটি দেখতে সত্যিই ছবির মতো সুন্দর। আল্পসের কোলে ষোড়শ শতকের পুরনো সব কাঠের বাড়ি আর হদ্র-সব মিলিয়ে অপূর্ব এই গ্রামের জনসংখ্যা ৯শ’র কম।

অস্ট্রিয়া অতীতে হাবসবুর্গ রাজাদের অধীনস্থ একটি বিস্তৃত শক্তিশালী সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র ছিল। ভিয়েনা ছিল সেই সাম্রাজ্যের রাজকীয় রাজধানী। পশ্চিম ইউরোপের এ দেশটির নয়টি রাজ্যে ৮ দশমিক আট মিলিয়ন মানুষের বসবাস। দেশটির অধিকাংশ অংশই আসলে পাহাড়ি অঞ্চল।

অপূর্ব ছোট ছোট সবুজে ঘেরা গ্রামের মধ্য দিয়ে হালস্টাটে যেতে হয়। পথে হঠাৎ হঠাৎ উঁকি দেয় আল্পসের চূড়া। আশে পাশে দেখা যায় বিশাল পাহাড় আর পাহাড়ের গায়ে গায়ে জড়িয়ে থাকা মেঘ। কী অপূর্ব সেই দৃশ্য। বাড়িগুলোর পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ছোট্ট পাহাড়ি নদী। তার কলকল শব্দ কানে অপার্থিব এক সুরমূর্চ্ছনা পৌঁছে দেয়।

হালস্টাট গ্রামটি বিখ্যাত সাত হাজার বছরের পুরনো লবণ খনির জন্য। বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয়া হালস্টাটের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ এই লবণ খনি। স্থলভাগ থেকে ৩৬০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। কেবল কারে করে ওই খনিতে উঠতে হয়।

ওপর থেকে ৬০ বর্গ কিলোমিটারের ছোট হালস্টাটকে আরো অপূর্ব দেখায়। সেখানে রেস্তোরাঁও আছে। তবে স্কাইওয়াক থেকে সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। ওপরের এই স্বর্গীয় সৌন্দর্য পৃথিবীর যাবতীয় কষ্ট আর অপ্রাপ্তিকে এক নিমিষে ভুলিয়ে দেয়। কিছু দূর হাঁটলেই পাওয়া যায় একটা পার্কে । যেখানে শিশুদের খেলার জায়গা। পাশেই হালস্টাট হ্রদ। পুরো গ্রামটি সেখান থেকে দেখা যায়।

ষোড়শ শতাব্দীর কাঠের বাড়িগুলোর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল রাস্তা আর সময়ে সেখানেই আটকে আছে।

রাজধানী ভিয়েনা এখনো বিশ্বের অন্যতম প্রধান শহর হিসেবে আদৃত। এর রাজকীয় রূপ, অসাধারণ বারোক স্থাপত্য, সংগীত ও নাট্যকলা জগদ্বিখ্যাত। ভিয়েনা বর্তমানে অস্ট্রিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

ভিয়েনায় শ্যোনবর্ন প্যালেসের মতো অস্ট্রিয়ান এম্পায়ারের আর কোনো বড় প্রতীক নেই। ১৯১৮ সাল পর্যন্ত এটা ছিল হাবর্সবর্গ শাসকদের গ্রীষ্মকালীন আবাস। পরবর্তীতে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেস্কো। বর্তমানে বছরে প্রায় ৪০ লাখ পর্যটক এ স্থাপনাটি দেখতে আসেন।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ