ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাকরি আছে, কিন্তু লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

প্রকাশনার সময়: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১০ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১৪
সংগৃহীত ছবি

বৈশ্বিক মহামারি করোনভাইরাসের (কোভিড-১৯) কঠোর নিয়ম পেরিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে গিয়ে নতুন সংকটে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকরা। গত এক বছরে অভিবাসীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় কর্মী পাচ্ছে না তারা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়, করোনার সময় বিপুল মৌসুমি কর্মী আর বিদেশি শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়া ছেড়েছেন৷ সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে নতুন শিক্ষার্থী বা কর্মীরা এই সময়ের মধ্যে আসতে পারেননি৷ যারা গিয়েছেন তাদের অনেকেও ফিরে আসেননি। যে কারণে মৌসুমি কর্মী সংকটে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা খাত৷ প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি চালু হলেও প্রয়োজনীয় কর্মী ছাড়াই তাই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে অনেককে।

আতিথেয়তানির্ভর খাতের জন্য কর্মী ভাড়া করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক রোনডা এভারিংহাম৷ পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আগে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিলে কয়েকশ’ আবেদন জমা পড়তো। এখন যদি পাঁচটি পাওয়া যায় তাহলেই আপনি সৌভাগ্যবান৷ এর মধ্যে তিনটি পাবেন উপযুক্ত। যেই সময় আপনি তাদের ডাকবেন ততক্ষণে দেখা যাবে তারা অন্য কোনো চাকরি পেয়ে গেছেন।’

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির দুইটি বড় শহর ও মেলবোর্নের সেবানির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো৷ গত ১১ অক্টোবর সিডনি ও গত সপ্তাহে মেলবোর্নে কোভিডের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।

কর্মী সংকটের মাঠের এই চিত্র ধরা পড়েছে দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানেও। ‘নন-রেসিডেন্ট'কাজের ভিসায় আগতদের সংখ্যা ২০২০ সালের শুরুর তুলনায় চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে দুই তৃতীয়াংশ কম ছিল। সেই সঙ্গে দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা করোনার আগের সময়ের চেয়ে তিন লাখ কমে গেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ২২ লাখ অনিয়মিত কর্মীর এক চতুর্থাংশই বাস করেন সিডনিতে। চার মাসের লকডাউন শেষে শহরটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি মিলেছে। ২৫ অক্টোবর সাড়ে ২২ হাজার দর্শক নিয়ে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম বড় আয়োজনটি হতে যাচ্ছে। এজন্য ৭৩০ জন রাঁধুনি, পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন।

একই সময় অন্য কোনো বড় আয়োজন না থাকায় এই লোকবল জোগাড় করতে পেরেছেন তারা৷ কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানান, আতিথেয়তা ব্যবসায় প্রত্যেকেই এখন কর্মী চ্যালেঞ্জে রয়েছেন।

এমন অবস্থায় নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার এবার বড় সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে৷ সেই সঙ্গে কর্মী চাহিদা মেটাতে এক বছরে চার লাখ অভিবাসীকে নিতে চান তারা, যা কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ৷ কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশটির নাগরিক, বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাই শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ