ভারতের লাদাখের পর এবার উত্তপ্ত হয়েছে উঠছে উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ। চীনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জোরদার করতেই পূর্ব সেক্টরে নতুন অস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তে উভয় পক্ষের সেনা মুখোমুখি অবস্থানের কারণে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মূলত চীন-ভারত সীমান্ত সমস্যা বহু ক্ষেত্রে এখনো অমীমাংসিত। ২০২০ সালের এপ্রিলে পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ে। গলওয়ানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষও ঘটে। নিহত হন দুই দেশের সেনারা। সেই থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে ১৩টি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সব বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো যায়নি।
এদিকে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে পাঁচ হাজার কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৫ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে উড়িষ্যা উপকূলের এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।
এটি পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সুনিপুণভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এটির সফল পরীক্ষাকে চীনের বিরুদ্ধে ভারতের একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রে তিন-পর্যায়ের কঠিন জ্বালানি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এটি খুব উচ্চ মাত্রায় নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এমনকি চীনের মূল ভূখণ্ডেও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
চীন ছাড়াও অগ্নি-৫ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশেও পৌঁছাতে সক্ষম। এটি ১০৫ টন পে-লোড বহন করতে পারে এবং এর ওজন প্রায় ৫০ টন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ইসরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ার পরে ভারত অষ্টম দেশ যার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ