ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

চীনে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা 

প্রকাশনার সময়: ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০৮
সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উৎপত্তিস্থল হিসেবে বিবেচিত চীনে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে। নতুন উদ্বেগ সৃষ্টিকারী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশটির অন্তত ১১ টি বড় শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ তথ্য জানিয়ে দেশটির এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা ও সংক্রমিত এলাকার পরিধি বাড়তে পারে।

রোববার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তা উ লিয়াংইউ জানিয়েছেন, বিদেশ থাকা ব্যক্তিদের মাধ্যমে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঘটেছে। এর ফলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে।

কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং জানিয়েছেন, গত ১১ অক্টোবর থেকে ১১টি প্রদেশে সংক্রমণের বিস্তার ঘটেছে। আক্রান্তদের অধিকাংশের আন্তঃপ্রদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে।

শনিবার চীনে নতুন করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সাত জন ইনার মঙ্গোলিয়ায়, ছয় জন গানসুর, ছয় জন নিংশিয়ার, চার জন বেইজিংয়ের, এক জন হুনানের এবং এক জন শানিজির বাসিন্দা। রাজধানী বেইজিংয়ের তিনটি জেলায় নতুন করে সংক্রমণ ঘটছে।

করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় চীন সরকার প্রথম থেকেই কড়াকড়ি আরোপ করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটির সরকার আঞ্চলিক সীমান্ত বন্ধ এবং লকডাউন দিয়েছিল। এতে করে করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে সফল হয় বেইজিং। কিন্তু ১১ অক্টোবর থেকে চীনের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, চীনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশকে করোনার টিকার পূর্ণ ডোজ দেয়া হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে টিকার পূর্ণ ডোজের আওতায় আনা হয়েছে জানিয়ে রোববার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং।

বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেং বলেছেন, চীনের মোট ১৪১ কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০৬ কোটি ৮০ লাখ জনকে টিকার প্রয়োজনীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকার ২২৪ কোটি ৫০ লাখ ডোজ প্রয়োগ করেছে চীন।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ