আকর্ষণীয়, দ্রষ্টব্য জায়গার কোনো অভাব নেই দুবাই শহরে। এবার সেগুলোর সঙ্গে যোগ হলো ‘দুবাই আই’। লন্ডন আই-এর মতোই এক সুবিশাল নাগরদোলা, সত্যি বলতে দুনিয়ার উচ্চতম নাগরদোলা আজ থেকেই খুলে যাচ্ছে সর্বসাধারণের জন্য। বিরাট কোহলি, বাবর আজমরা যখন নিচে মাঠের দ্বৈরথে ব্যস্ত, সে সময় শুরু হবে দুবাই আই-এর পথচলা, থুড়ি ঘূর্ণন।
এর নাম দেয়া হয়েছে ‘এইন দুবাই’, যার অর্থ ‘দুবাইয়ের চোখ’। লন্ডন আইয়ের দ্বিগুণ উচ্চতার এই ‘অবজারভেশন হুইল’ থেকে দেখা যাবে দুবাই শহরের দিগন্ত বিস্তৃত দৃশ্য। দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহামেদ বিন রশিদ আল মাখতুম ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। দুবাই আই-এর একটি পডের মাথায় বসে কফি খাচ্ছেন তিনি।
কী কী বিশেষত্ব রয়েছে দুবাই আই-এর?
১) আগেই বলা হয়েছে লন্ডন আই-এর দ্বিগুণ উচ্চতার এই আই দুবাই। দর্শকদের মাটি থেকে ২৫০ মিটার উঁচু পর্যন্ত নিয়ে যাবে এটি।
২) দুবাই আই-এর চাকায় রয়েছে ৪৮টি ক্যাপসুল বা পড, সব মিলিয়ে ১৭৫০ জন বসতে পারবেন।
৩) প্রতিটি রাইড ৩৮ মিনিটের। প্রতিটি রাইডে ঘূর্ণন হবে একবার কিংবা বড়জোর দু’বার। দু’বার হলে সময় লাগবে ৭৬ মিনিট।
৪) নানা ধরনের সেলিব্রেশন প্যাকেজও আছে। বিয়ে, এনগেজমেন্ট, জন্মদিন, ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানেও ভাড়া নেয়া যাবে।
৫) ভিআইপি অতিথিদের জন্য আছে কাস্টমাইজেবল কেবিন। অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতে কোনো সমস্যা হবে না।
৬) প্যারিসের আইফেল টাওয়ার তৈরিতে যত ইস্পাত লেগেছে, তার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি ইস্পাত ব্যবহৃত হয়েছে দুবাই আই বানাতে।নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ