আফগানিস্তানে দিন দিন প্রকট হচ্ছে মানবিক সংকট। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মানুষের হাতে অর্থ না থাকা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এমন করুণ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন তালেবান সরকার। মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায় তালেবান।

এদিকে, তালেবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি দোহায় আলোচনায় পশ্চিমা কূটনীতিকদের বলেছেন, আফগান সরকারকে দুর্বল করা কারও স্বার্থ হওয়া উচিত নয়, কারণ এর নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি বিশ্বকে প্রভাবিত করবে। গত মঙ্গলবার তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দোহার আলোচনায় মুত্তাকি আরও বলেছেন, আমরা বিশ্বের দেশগুলোকে অনুরোধ করছি বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটাতে এবং ব্যাংকগুলোকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে দিতে, যাতে দাতব্য গোষ্ঠী, সংস্থা, সরকার তাদের নিজস্ব মজুত ও আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের কর্মীদের বেতন দিতে পারে।

তালেবানের নেতারা মঙ্গলবার কাতারে মার্কিন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি যৌথ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি আলোচনায় অংশ নেন। সেখানে আফগানিস্তানের জন্য ১২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রাসেলস।

এদিকে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির জোট জি-২০। এ সহায়তা নিয়ে যদি তালেবানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হয়, সেটাও করবে এই জোট। মঙ্গলবার জোটের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। ওই সম্মেলনে জোট নেতাদের মধ্যে আলোচনার পর ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি এসব জানান।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০০ কোটি ইউরো (১২০ কোটি মার্কিন ডলার) তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বৈঠক আহ্বান করে। এ তহবিল আফগানিস্তানে জরুরি মানবিক চাহিদা পূরণ এবং প্রতিবেশী যেসব দেশ পালিয়ে যাওয়া আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের দেয়া হবে। গত ১৫ আগস্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দেশটিতে নতুন করে এমন সংকট শুরু হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এমআর