ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

২০৫০ সালে তীব্র পানিসঙ্কটে পড়বেন ৫০০ কোটি মানুষ

প্রকাশনার সময়: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ২১:২১

জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে বলেছেন, বিশ্বে বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৫০ সালে চরম পানিসঙ্কটে পড়বেন বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ।

‘দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীর পানির স্তর উদ্বেগজনক হারে নিচে নামতে শুরু করেছে, যা বিশেষভাবে নজরে এসেছে গত ২০ বছরে। গত প্রতি দু’দশকের বছর এই স্তর ১ সেন্টিমিটার করে নেমেছে।

ভূপৃষ্ঠ, ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তর, বরফ ও তুষারে জমা পানির স্তর গত দু’দশকে যে হারে কমেছে, আগে কখনও এমন হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ডব্লিউএমও।

আরও উল্লেখ করা হয়, ভূপৃষ্ঠের পানির স্তর যে হারে নিচে নেমে যাচ্ছে তা ২০১৮ সালেই টের পেয়েছেন বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ। ওই বছরের অন্তত একমাস তীব্র জলকষ্টে ভুগেছেন তারা।

বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ যদি দ্রুত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ২০৫০ সালে পৌঁছানোর পর দেখা যাবে, ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ চরম পানিসংকটে পড়েছেন। তীব্র জলাভাব দেখা দেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায়। এই সংকটে ভুগবে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়াও।

ডব্লিউএমওর মহাপরিচালক পেত্তেরি তালাস জানিয়েছেন, ভূগর্ভে মোট সঞ্চিত পানির মাত্র .৫ শতাংশ ব্যবহার করতে পারে মানুষ। বাকিটা ব্যবহার করা সম্ভব নয়, কারণ সেই পানি রয়েছে পৃথিবীর অনেক গভীরে।

ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে বিশ্বজুড়ে বন্যাঘটিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা তার আগের দু’দশকের চেয়ে বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ।

এ সম্পর্কে ডব্লিউএমওর প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘দ্রুতহারে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে গত ২০ বছরে বায়ুমণ্ডলের আদ্রতা বেড়েছে ৭ শতাংশ। ঘন ঘন বন্যা ও তার ভয়াবহতা বাড়ানোর জন্য দায়ী এই আদ্রতা বৃদ্ধি।’

‘বন্যায় মৃত্যু ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে এশিয়ায়। এখানে বন্যার আগাম সতর্কতা জারির ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করে তোলার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর।

আগামী ৩১ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন সিওপি-২৬, শেষ হবে ১২ নভেম্বর। সম্মেলনে বৈশ্বিক পানি সংকটের বিষয়টি যেন আলোচনা করা হয়ে, প্রতিবেদনে সেই আর্জি জানিয়েছে ডব্লিউএমও।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ