প্রতি বছর ৬ টি ক্ষেত্রে নোবেল দেয়া হলেও বরাবরই আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার। আগামী শুক্রবার বিকেলে নরওয়ে থেকে ঘোষণা হবে এই পুরস্কার বিজয়ীর নাম। ইতিমধ্যেই শান্তিতে মর্যাদাবান এ পুরস্কার কে বা কারা পাচ্ছেন এ নিয়ে আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে।
এবার শান্তি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন ২৩৪ জন ব্যক্তি ও ৯৫টি প্রতিষ্ঠান। আলোচনায় আছেন নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন, তরুণ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ থেকে শুরু করে ডব্লিউএইচওর মতো সংস্থা।
করোনা মহামারির লাগাম টানতে সম্মুখসারির বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নাম আছে আলোচনার শুরুতে। বিশ্বজুড়ে পরিচালিত টিকাদান প্রকল্প কোভ্যাক্স সফলভাবে পরিচালনা করায় সংস্থাটির নোবেল জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
অভিবাসী এবং শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে অবদান রাখায় শান্তিতে নোবেলের জন্য আলোচনায় আছে ইউএনএইচসিআরও। অপরদিকে তালিকায় আছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নাগরিকদের মানবাধিকার নিশ্চিত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় কর্মরত দুটি প্রতিষ্ঠান বিসালেম এবং পিসিএইচআর। এছাড়াও আলোচিত হচ্ছে পোল্যান্ডের বিচারপতিদের সংগঠন লুস্তিতিয়া।
বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কাজ করা সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এবং হংকং ভিত্তিক বার্তা সংস্থা এইচকেইপি নিয়েও আলোচনা চলছে জোরেশোরে।
এদিকে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচিত হচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। জোরালো গুঞ্জন রয়েছে রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি ও সুইডেনের তরুণ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে নিয়েও। এছাড়া উইঘুরের মানবাধিকার ইস্যুতে সোচ্চার ইলহাম তোহতি, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতা নাথান ল, বেলারুশের বিরোধী দলীয় নেতা সেভেতলানা সিখানোস্কায়ার নামও আছে শান্তিতে নোবেলের সম্ভাব্য তালিকায়।
নোবেল বিজয়ীদের যা দেয়া হয়: প্রত্যেক বিজয়ীকে একটি পদক দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ীরা যে পদক পেতেন, সেটা ছিল ২৩ ক্যারেট স্বর্ণের। এরপর থেকে ১৮ ক্যারেট সবুজ স্বর্ণের ধাতবের ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া পদক দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া একটি সনদ ও মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এই অর্থের পরিমাণ এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার বা ১১ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় আট কোটি টাকা।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ