সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গত বছরের শেষে খুইয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদ। তারপর ক্যাপিটল-তা-বে উসকানির অভিযোগে জেরবার হওয়া। আর এবার দেখা গেল ‘ফোর্বস’ প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ধনী ৪০০ ব্যক্তির তালিকাতেও ঠাঁই হয়নি তার। ২৫ বছরে এই প্রথম এই তালিকা থেকে বাদ গেলেন তিনি। তবে ট্রাম্পের এই ‘পতনে’ বিস্মিত নয় ওয়াকিবহাল মহল।
গত বছরের তালিকাতেও তার নাম ছিল একেবারে নিচের দিকে। ৩৩৯ নম্বরে রাখা হয়েছিল ট্রাম্পকে। ফলে তালিকা থেকে একেবারে বাদ পড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত তখন থেকেই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ এই অবস্থা ৭৫ বছরের রিয়েল এস্টেট মোগলের? প্রেসিডেন্ট পদ খোয়ানোর সঙ্গে অবশ্য এর কোনো রকম সম্পর্ক নেই। আসলে মহামারির সময় থেকেই তার সম্পত্তি একেবারেই ‘স্থবির’ হয়ে পড়ে। একই সমস্যা হয়েছিল অন্য ব্যবসায়ীদেরও। কিন্তু তারা নিজেদের ব্যবসাকে অন্যদিকে স্থানান্তরিত করেছিলেন। সেই সুযোগ ছিল ট্রাম্পের সামনেও। কিন্তু তেমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই অদূরদর্শিতার পরিণামই এখন তাকে ভুগতে হচ্ছেই বলে মনে করা হচ্ছে।
ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাগাজিনটিতে গত বছর শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ৩৩৯ নম্বরে ছিলেন ট্রাম্প। এক বছর আগে ট্রাম্পের যে সম্পদ ছিল এখনো সেই পরিমাণ সম্পদই আছে। তবে করোনা মহামারির কারণে এই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের মতো ক্ষতি হয়েছে। আর এ পতনের জন্য ট্রাম্প নিজেই দায়ী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তার সম্পদের পরিমাণ আর ৪০ কোটি ডলার বেশি হলেই এ তালিকায় তার নাম থাকত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়টি ছিল ট্রাম্পের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেয়ার কিছুদিন আগেই ট্রাম্প জানান, তিনি একই সময়ে তার ব্যবসা এবং সরকার সামলাতে পারবেন।
সে সময় বেশ জোর দিয়েই ট্রাম্প বলেন, কোনো কিছু যেমন দেখা যায় আমি সেটা পছন্দ করি না। যদি আমি চাই তবে আমি অবশ্যই এটা করতে পারব। আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে এটা করতে সক্ষম হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ১৯৯৭-২০১৬ সাল পর্যন্ত ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা ধনীদের তালিকার ওপরের দিকেই ছিল ট্রাম্পের নাম।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ