ঢাকা, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬

ভারতের জায়গা দখল করে চীনের নতুন কাউন্টি ঘোষণা

প্রকাশনার সময়: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০

ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। বিশেষ করে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল লাদাখের একটি বড় অংশ নিজেদের বলে দাবি করে চীন। চীন একাধিকবার এসব অঞ্চলকে তাদের মানচিত্রেও যুক্ত করেছে। বিভিন্ন সময়ে অঞ্চলের বড় অংশ দখলও করেছে। এ অঞ্চলের দখল নিয়ে দুদেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বহুবার।

এবার ভারত সীমান্তবর্তী চীনের উত্তর-পশ্চিমের শিনজিয়াং প্রদেশে দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল (কাউন্টি) ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। তবে বেইজিংয়ের ঘোষিত কাউন্টির কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের মধ্যে পড়েছে দাবি করে এর আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৭ ডিসেম্বর চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াংয়ে এই দুটি কাউন্টি প্রতিষ্ঠার কথা জানায়। তাদের খবরে বলা হয়, শিনজিয়াংয়ের সরকার হোটান প্রিফেকচারের অধীনে হে’আন কাউন্টি এবং হেকাং কাউন্টি নামে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাষ্ট্র পরিষদ এই দুটি নতুন কাউন্টি অনুমোদন করেছে, যা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে পরিচালিত হবে।

তবে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এই তথাকথিত কাউন্টির কিছু অংশ লাদাখের ভেতরে পড়ে এবং ভারত কখনই এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারিকে স্বীকৃতি দেয়নি।

তিনি বলেন, আমরা হোটান প্রিফেকচারের অধীনে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেখেছি। তথাকথিত এই কাউন্টিগুলোর কিছু অংশ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের ভেতরে পড়ে। আমরা কখনো এই এলাকায় চীনের অবৈধ দখলদারি স্বীকার করিনি।

রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন, নতুন কাউন্টি তৈরির বিষয়টি এই এলাকায় ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের ও ধারাবাহিক অবস্থানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। চীনের অবৈধ ও জোরপূর্বক দখলকে ভারত বৈধতা দেবে না। আমরা চীনা পক্ষের কাছে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি।

সম্প্রতি দীর্ঘদিনের আলোচনার পরে ভারত ও চীনের মধ্যে একটি সীমান্ত জটিলতার সমাধান হয়। ফলস্বরূপ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুদেশই নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু, সবশেষ এমন ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি আবারও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ