ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আফগান মেয়েরা

প্রকাশনার সময়: ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০৩:১৮

মেয়েদের স্কুলে ফেরার অনুমোদন না দেয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় লাখ লাখ আফগান ছাত্রী। ৭ থেকে ১২ বছর বয়েসী ছাত্রদের স্কুলে ফেরার অনুমোদন দিলেও মেয়েদের শ্রেণীকার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমোদন দেয়নি দেশটির নতুন শাসক গোষ্ঠী তালেবান।

কট্টরপন্থী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের স্কুলে ফেরার অনুমোদন দেবে না তারা। তালেবানের এমন বক্তব্যে হতাশ আফগান নারীরা।

তালেবান মুখপাত্র এবং বর্তমান তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ছাত্রীদের ক্লাসে ফেরার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে তালেবান সরকার।

এদিকে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি বলেন, গত দুই দশকে (২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত) আফগানিস্তানের তরুণ-তরুণীরা আধুনিক পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। তারা কোনো কাজের নন। তাদের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ নেই। তারা পশ্চিমা–সমর্থিত সরকারের হয়ে লড়াই করেছেন। এর চেয়ে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বেশি কাজের।

ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষকদের প্রাধান্য দেয়া হবে উল্লেখ করে তালেবান সরকারের এই মন্ত্রী আরও জানান, তালেবান আফগানিস্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় এমন শিক্ষক নিয়োগকে প্রাধান্য দেবে, যারা তথাকথিত পশ্চিমা ধাঁচের স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডির বদলে ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষায় গুরুত্ব দেবেন। দেশটির ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ জোগাবেন তারা।

গত আগস্টে কাবুল দখলের পর তালেবান মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, নারীদের শিক্ষা ও কর্মের অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তার সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে প্রতিশ্রুতি পালনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তালেবান।

এদিকে, সাধারণ আফগানরা আতঙ্কিত কারণ তাদের ধারণা আবারও কট্টরপন্থা অবলম্বন করতে যাচ্ছে তালেবান সরকার। কারণ, তারা ক্ষমতাগ্রহণের পর সরকারী চাকরীজীবী সকল নারীকে ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। এমনকি আফগান নারীরা কাজ করতে পারছেন না বেসরকারি ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি নারী সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে প্রহারের মত লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষীও হয়েছে দেশটি।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ